জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক তাপস রায়ের মা তাপসী রায় মারা গেছেন। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৭টায় ঢাকা মিরপুরের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তাপসী রায়। তার ডায়ালাইসিস চলছিল। কয়েক দিন আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে মিরপুরের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে মারা যান তিনি।  

তার মৃত‍্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে যান স্বজনরা। তাপসী রায়ের মরদেহ গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই স্থানীয় শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। মৃত্যুকালে দুই ছেলেসহ অসংখ‍্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। 

মায়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় সকলের আশীর্বাদ কামনা করেছেন তাপস রায়।  

ঢাকা/ইভা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ