হিলি বন্দরে বেড়েছে আমদানি-রপ্তানি, ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যতা
Published: 28th, August 2025 GMT
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে গত ১২ আগস্ট থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম। কোলাহল বেড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশ ও ভারতের ট্রাক লোড-আনলোডে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। যে কারণে বন্দরে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যতা।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, গত ১ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরে ২২৯টি ট্রাকে ৬ হাজার ২৪৮ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। ১২ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এই বন্দরে ১ হাজার ৩১৩টি ট্রাকে ৪৮ হাজার ৫৩৭ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়। পাশাপাশি বন্দরে দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই মাসে ২ হাজার ৯১ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা।
আরো পড়ুন:
হিলি বন্দরে রপ্তানি আয় ১৮ কোটি টাকা
হিলি স্থলবন্দরে কাঁচা মরিচ ১১০ টাকা অথচ খুচরায় ১৬০
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে হিলি বন্দর ঘুরে দেখা যায়, বন্দরে অসংখ্য ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক আর দেশি ট্রাকে অবস্থান করছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন ব্যবসায়ীরা। ট্রাকে লোড-আনলোডে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন শ্রমিকরা। পাশাপাশি বন্দরের বাইরেও ব্যস্ততা বেড়েছে বন্দর কেন্দ্রীক সব কার্যক্রম।
একস্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্য নিতে ব্যস্ত বন্দরের শ্রমিকরা
বিগত দিনে এই বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতো ১০ থেকে ১৫টি। গত ১২ আগস্ট থেকে প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৫০টি ভারতীয় ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে।
হিলি বন্দরের শ্রমিক রেজাওয়ান, জলিল ও আশরাফ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই বন্দর একেবারে ফাঁকা ছিল। সারাদিনে তেমন গাড়ি আসতো না। বসে বসে দিন কাটতো। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তারা। গত কয়েকদিন ধরে বন্দরে প্রচুর কাজ। কাজ করতে পারায় ভালো আয় হওয়ায় সংসারও ভালোভাবে চালাতে পারছেন তারা।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক নুর-ইসলাম বলেন, “বর্তমান আমরা আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ীরা অনেক ভালো আছি। আমরা চাহিদা অনুযায়ী ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে পারছি। দেশে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান আমি ভারত থেকে চাল আমদানি করছি।”
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, “হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত দিনে এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি একেবারে শূন্যের কোঠায় ছিল। বর্তমান বন্দরে চাল আমদানি বেশি হচ্ছে। বন্দরের শ্রমিকরা কাজেকর্মে ব্যস্ত আছেন, তাদের উপার্জনও ভালো হচ্ছে।”
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো.
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন ১২ আগস ট থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’
অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।
জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া