রং শনাক্ত করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লো টিয়া পাখি
Published: 4th, September 2025 GMT
টিয়া পাখিটির নাম শাওগুই। এটি চীনের এক ব্যক্তির পোষা পাখি। টিয়া পাখিটির অনন্য একটি দক্ষতা রয়েছে। এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে রং শনাক্ত করতে পারে। শাওগুই নামের ওই টিয়া পাখিটি মাত্র ৩৩ দশমিক ৫ সেকেন্ডে ১০টি রং আলাদা করে শনাক্ত করে রেকর্ড গড়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে রং শনাক্ত করে বিশ্বরেকর্ড গড়লো চীনের একটি টিয়া পাখি। বুধবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন:
অভিষেকেই দুঃস্বপ্ন, লজ্জার রেকর্ড গড়লেন ইংলিশ পেসার সনি বেকার
বল হাতে রশিদ খানের বিশ্বরেকর্ড
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘চীনের হেনান প্রদেশের জিয়াওঝো শহরের বাসিন্দা চিন ফেং এর পোষা পাখি শাওগুই। চিন ফেং, ২০২০ সালে টিয়াটিকে বাচ্চা অবস্থায় ঘরে আনেন। শুরু থেকেই পাখিটির খেলনা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে শাওগুই রঙিন বল পছন্দ করতো।’’
রঙের প্রতি আকর্ষণ দেখে শাওগুইর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ফেং বলেন, ‘শাওগুই খেলতে খেলতেই রং আলাদা করা শিখেছে। ওর বুদ্ধিমত্তা আমাকে অবাক করেছে।’
২০২৪ সালের নভেম্বরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য শাওগুইর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষায় শাওগুইকে ১০টি ছোট প্লাস্টিকের ঝুড়ি ও রঙিন সুতা দিয়ে সমানসংখ্যক বল বানিয়ে দেওয়া হয়। শাওগুইকে এলোমেলো রাখা রঙিন বলগুলো একই রঙের ঝুড়িতে রাখতে বলা হয়। শাওগুই দ্রুত কাজটি শেষ করে।
গিনেস কর্তৃপক্ষ জানায়, একবার গাঢ় গোলাপি একটি বল হালকা গোলাপি ঝুড়িতে ফেলে ভুল করলেও মুহূর্তের মধ্যেই তা সংশোধন করে নেয় শাওগুই।
গিনেস রেকর্ডসে শাওগুইর আগে আরও কিছু টিয়া পাখি একই কীর্তি গড়েছিল। আফ্রিকার ধূসর প্রজাতির টিয়া অ্যাপোলো যুক্তরাষ্ট্রে ৩ মিনিটে ১২টি বস্তু চিনে রেকর্ড গড়েছিল। ইতালির কিরা নামের একটি টিয়া ৩ মিনিটে ১১টি তাস চিনে সাফল্য দেখিয়েছিল।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ড কর ড গ
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’
নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন, মানবিকতা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। প্রশংসিত এই চলচ্চিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের এই আলোচিত চলচ্চিত্রটি।
৭ দিনব্যাপী এ উৎসবে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’, যা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে উৎসবে।
আরো পড়ুন:
দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে
সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা
২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেন মাসুম রেজা।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।
উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার ও অভিনেতা আ. মা. ম. হাসানুজ্জমান বলেন, “আমি যখন গল্পটি লিখি, তখন এত কিছু ভাবিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা সত্যিই অকল্পনীয়। ‘নয়া মানুষ’ ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত দর্শন তুলে ধরছে—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিচ্ছে—এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। কাশ্মীর ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ‘নয়া মানুষ’ অংশ নিচ্ছে, যা দেশের চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সাফল্য।”
চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। সিনেমাটির সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাসা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
মানবতার বার্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও জীবনবোধের অনন্য মেলবন্ধন নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ এবার বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত