টিয়া পাখিটির নাম শাওগুই। এটি চীনের এক ব্যক্তির পোষা পাখি। টিয়া পাখিটির অনন্য একটি দক্ষতা রয়েছে। এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে রং শনাক্ত করতে পারে। শাওগুই নামের ওই টিয়া পাখিটি মাত্র ৩৩ দশমিক ৫ সেকেন্ডে ১০টি রং আলাদা করে শনাক্ত করে রেকর্ড গড়েছে। 

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে রং শনাক্ত করে বিশ্বরেকর্ড গড়লো চীনের একটি টিয়া পাখি। বুধবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন:

অভিষেকেই দুঃস্বপ্ন, লজ্জার রেকর্ড গড়লেন ইংলিশ পেসার সনি বেকার

বল হাতে রশিদ খানের বিশ্বরেকর্ড

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়,  ‘‘চীনের হেনান প্রদেশের জিয়াওঝো শহরের বাসিন্দা চিন ফেং এর পোষা পাখি শাওগুই। চিন ফেং, ২০২০ সালে টিয়াটিকে বাচ্চা অবস্থায় ঘরে আনেন। শুরু থেকেই পাখিটির খেলনা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে শাওগুই রঙিন বল পছন্দ করতো।’’

রঙের প্রতি আকর্ষণ দেখে শাওগুইর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ফেং বলেন, ‘শাওগুই খেলতে খেলতেই রং আলাদা করা শিখেছে। ওর বুদ্ধিমত্তা আমাকে অবাক করেছে।’

২০২৪ সালের নভেম্বরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য শাওগুইর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষায় শাওগুইকে ১০টি ছোট প্লাস্টিকের ঝুড়ি ও রঙিন সুতা দিয়ে সমানসংখ্যক বল বানিয়ে দেওয়া হয়। শাওগুইকে এলোমেলো রাখা রঙিন বলগুলো একই রঙের ঝুড়িতে রাখতে বলা হয়। শাওগুই দ্রুত কাজটি শেষ করে। 

গিনেস কর্তৃপক্ষ জানায়, একবার গাঢ় গোলাপি একটি বল হালকা গোলাপি ঝুড়িতে ফেলে ভুল করলেও মুহূর্তের মধ্যেই তা সংশোধন করে নেয় শাওগুই।

গিনেস রেকর্ডসে শাওগুইর আগে আরও কিছু টিয়া পাখি একই কীর্তি গড়েছিল। আফ্রিকার ধূসর প্রজাতির টিয়া অ্যাপোলো যুক্তরাষ্ট্রে ৩ মিনিটে ১২টি বস্তু চিনে রেকর্ড গড়েছিল। ইতালির কিরা নামের একটি টিয়া ৩ মিনিটে ১১টি তাস চিনে সাফল্য দেখিয়েছিল।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ড কর ড গ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ