পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সার্বিক দিক বিবেচনা করে ভারপ্রাপ্ত সিইও নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

ইউনিয়ন ক্যাপিটালের এজিএমের তারিখ ও ভেন্যু নির্ধারণ

কারণ ছাড়াই বাড়ছে ইনটেকের শেয়ারের দাম

চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড জানিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মুহাম্মদ আমদাদ উল্লাহ। তিনি গত ২৮ আগস্ট থেকে কোম্পানির সিইওর শূন্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০২২ সালে। ‘বি’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৩ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৬০ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭.

৩৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩২.৬৬ শতাংশ শেয়ার আছে।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ