প্রযুক্তি ও রোবোটিক্সে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে রোবটিড ২.০।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাল নজরুল ইসলাম সায়েন্স বিল্ডিংয়ের ৪০৩ নম্বর কক্ষে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুইটা সেগমেন্টে প্রযুক্তি ও রোবোটিক্সের এ মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

রাকসুতে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ সুযোগ চান ৫ ছাত্রদল নেতা

রাকসু: সংগ্রামী শাহরিয়ার মোর্শেদ কাজ করতে চান সেশনজট নিয়ে

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (আইইই), রোবটিক অ্যান্ড অটোম্যাটিক সোসাইটি (আরএএস) ও রাজশাহী ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ চ্যাপ্টারের (আরইউবিসি) যৌথ আয়োজনে ব্রাকনেট লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং রোবমেন্ট এর সহযোগিতায় এ আয়োজন করা হয়। 

দিনব্যাপী আয়োজিত এ ওয়ার্কশপে ছিল কুইজ, বট ফাইট, টেকনিক্যাল সেশন এবং প্রজেক্ট ও রোবট (সসার বোট) ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রম।

এতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন আরইউবিসি এর কাউন্সেলর ড.

মো. এমদাদুল হক। এতে উপস্থিত ছিলেন আইইই, আরইউবিসি ও আরএএস এর উপদেষ্টা ড. মো. আরিফুল ইসলাম নাহিদ এবং আইইই প্রতিষ্ঠাকালিন উপদেষ্টা ড. শামীম আহমেদ। ওয়ার্কশপ পরিচালনায় ছিলেন রোবমেন্ট থেকে আসা বিশেষজ্ঞ মেন্টরগণ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর শতাধিক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানের দুইটি সেশনে অংশ নেন। প্রতিটি সেশনে ছিল তাত্ত্বিক আলোচনা, হাতে-কলমে কয়েকটি প্রজেক্ট এবং সসার বোট ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রম। পরবর্তীতে আটটি গ্রুপকে দুই দলে ভাগ করে আটটি বটের অংশগ্রহণে এক প্রীতি ম্যাচ ও কুইজ প্রতিযোগিতা এবং এর বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রোবটের ডিজাইন ও কাঠামো নির্মাণ, মোটর, সেন্সর ও কন্ট্রোল সিস্টেমের ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি টিমওয়ার্ক, সমস্যা সমাধান, প্রতিযোগিতামূলক দক্ষতা ও নতুন নতুন উদ্ভাবনী আইডিয়া প্রয়োগের সুযোগ পান।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, “এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা রোবোটিকস সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পেরেছি। পাঠ্য বইয়ের জ্ঞানের পাশাপাশি বাস্তবিক জ্ঞান অর্জন করাও সহজ হয়েছে। কারণ আমরা বইয়ে যা পড়ি, তা বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারলে আমাদের জ্ঞান আরো সমৃদ্ধ হয়।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ