সিলেটে পুলিশের ‘জিনিয়া’ অ্যাপ চালু
Published: 12th, September 2025 GMT
নিরাপদ, স্মার্ট ও আধুনিক নগরীতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ চালু করেছে প্রযুক্তিনির্ভর মোবাইল অ্যাপ ‘জিনিয়া’।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান সিলেটের নবাগত পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী।
আরো পড়ুন:
ঝালকাঠিতে বাসচাপায় কৃষি শ্রমিক নিহত
নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে প্রাণ গেল যুবকের
তিনি বলেন, “সময়ের সাথে অপরাধের ধরণ বদলেছে। তাই নাগরিকদের দ্রুত সহায়তা দিতে আমরা চালু করছি ‘জিনিয়া’ অ্যাপ, যা পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।”
অ্যাপটির মাধ্যমে লোকেশন শেয়ার, নোটিফিকেশন, অভিযোগ ট্র্যাকিংসহ এক ক্লিকেই মিলবে জরুরি পুলিশি সহায়তা। এতে নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ হেল্প ডেস্ক, প্রবাসীদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সহজ রিপোর্টিং সুবিধা থাকবে। ভবিষ্যতে এতে শিশু অপহরণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, গৃহস্থালি সহিংসতা প্রতিরোধ, ড্রোন নজরদারি, আইনি সহায়তা এবং ব্লকচেইন-ভিত্তিক সাক্ষ্য-প্রমাণ সংরক্ষণের মতো আধুনিক সুবিধা যুক্ত করা হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, “সিলেটবাসীকে নিরাপদ পরিবেশ উপহার দিতে হলে পুলিশের পাশাপাশি নাগরিকদেরও অংশীদার হতে হবে। সিলেট কেবল ইট-পাথরের সমাহার নয়—এটি আমাদের পরিবার ও ভবিষ্যৎ। তাই সবার অংশীদারিত্বেই গড়ে উঠবে একটি নিরাপদ, স্মার্ট ও আধুনিক সিলেট।”
ঢাকা/নূর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে কৃষককে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষককে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে দহেরপাড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী মো. আকবর আলী রবিবার (২ নভেম্বর) শ্রীবরদী থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ পাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ।
আরো পড়ুন:
নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত
মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতরে মিলল ২৩টি ককটেল, আটক ১
অভিযুক্তরা হলেন, দহেরপার গ্রামের মৃত নুজ বাউনের ছেলে আবু সামা ওরফে বুইজে (৬০), মৃত তরি মিয়ার ছেলে বনিজ উদ্দিন (৫০) ও মৃত ডায়ে শেখের ছেলে আব্দুল বারেক (৩০)।
ভুক্তভোগী আকবর আলীর বলেন, “প্রায় এক বছর আগে তিনি বারেকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা সুদে নেন। চুক্তি অনুযায়ী তিনি প্রতি মাসে চার হাজার টাকা করে সুদও পরিশোধ করে আসছেন। সম্প্রতি মূল টাকা ফেরত দিলেও অতিরিক্ত আরো দুই হাজার টাকা দাবি করেন বারেক। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।”
তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পরিকল্পিতভাবে তারা আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা আমাকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে আবু সামার বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাড়ির সামনের রাস্তার সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।”
শ্রীবরদী থানার ওসি আনোয়ার জাহিদ বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ