নিরাপদ, স্মার্ট ও আধুনিক নগরীতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ চালু করেছে প্রযুক্তিনির্ভর মোবাইল অ্যাপ ‘জিনিয়া’। 

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান সিলেটের নবাগত পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী। 

আরো পড়ুন:

ঝালকাঠিতে বাসচাপায় কৃষি শ্রমিক নিহত

নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

তিনি বলেন, “সময়ের সাথে অপরাধের ধরণ বদলেছে। তাই নাগরিকদের দ্রুত সহায়তা দিতে আমরা চালু করছি ‘জিনিয়া’ অ্যাপ, যা পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।”

অ্যাপটির মাধ্যমে লোকেশন শেয়ার, নোটিফিকেশন, অভিযোগ ট্র্যাকিংসহ এক ক্লিকেই মিলবে জরুরি পুলিশি সহায়তা। এতে নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ হেল্প ডেস্ক, প্রবাসীদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সহজ রিপোর্টিং সুবিধা থাকবে। ভবিষ্যতে এতে শিশু অপহরণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, গৃহস্থালি সহিংসতা প্রতিরোধ, ড্রোন নজরদারি, আইনি সহায়তা এবং ব্লকচেইন-ভিত্তিক সাক্ষ্য-প্রমাণ সংরক্ষণের মতো আধুনিক সুবিধা যুক্ত করা হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।

আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, “সিলেটবাসীকে নিরাপদ পরিবেশ উপহার দিতে হলে পুলিশের পাশাপাশি নাগরিকদেরও অংশীদার হতে হবে। সিলেট কেবল ইট-পাথরের সমাহার নয়—এটি আমাদের পরিবার ও ভবিষ্যৎ। তাই সবার অংশীদারিত্বেই গড়ে উঠবে একটি নিরাপদ, স্মার্ট ও আধুনিক সিলেট।”

ঢাকা/নূর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’

নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন, মানবিকতা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। প্রশংসিত এই চলচ্চিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের এই আলোচিত চলচ্চিত্রটি। 

৭ দিনব্যাপী এ উৎসবে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’, যা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে উৎসবে। 

আরো পড়ুন:

দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে

সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা

২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেন মাসুম রেজা। 

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী। 

উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার ও অভিনেতা আ. মা. ম. হাসানুজ্জমান বলেন, “আমি যখন গল্পটি লিখি, তখন এত কিছু ভাবিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা সত্যিই অকল্পনীয়। ‘নয়া মানুষ’ ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত দর্শন তুলে ধরছে—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।” 

চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিচ্ছে—এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। কাশ্মীর ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ‘নয়া মানুষ’ অংশ নিচ্ছে, যা দেশের চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সাফল্য।” 

চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। সিনেমাটির সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাসা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়। 

মানবতার বার্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও জীবনবোধের অনন্য মেলবন্ধন নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ এবার বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ