শতাধিক পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপ এবং টিসিবির ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি বন্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস। বর্ধিত এই ভ্যাট আরোপের ফলে জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থা সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছে দলটি। আজ রোববার খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের দুই নেতা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দুটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকার শতাধিক পণ্য ও সেবার আমদানি, উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট, সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে ইন্টারনেট, এলপি গ্যাসসহ প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য ও সেবা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অন্যায্য শর্ত পূরণে সরকার জনগণের ওপর নতুন করে এই করের বোঝা চাপিয়েছে। আমরা এই কর বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারি এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি। টিসিবির উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি বাড়াতে হবে। সামনে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে সরকারি এই ঘোষণা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে কষ্ট দেবে। সরকারের উচিত রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য কর ফাঁকি বন্ধ করা, পাচারকৃত অর্থ দ্রুত ফেরত আনা, দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অর্থ ও সম্পদকে কাজে লাগানো, একাধিক বাড়ি ও গাড়ির ক্ষেত্রে কর পুনর্বিন্যাস করা।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ