বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পেরোতে না পেরোতেই তার ঢেউ আছড়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পাহাড়ি দেশ নেপালে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে নেপাল হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে পড়ে।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তায় হাজার হাজার তরুণ যখন প্রতিবাদে নামেন, প্রথমে অনেকে ভেবেছিলেন—এ কেবল কয়েক দিনের ক্ষণিক উত্তেজনা। কিন্তু দ্রুতই স্পষ্ট হয়, এটি কোনো সাধারণ বিক্ষোভ নয়; বরং এক প্রজন্মের দীর্ঘদিনের হতাশা, ক্ষোভ ও ক্রোধের বিস্ফোরণ। এই তরুণ প্রজন্ম, যারা ‘জেন–জি’ বলে পরিচিত, রাজনীতির প্রথাগত কাঠামোর বাইরে থেকে এক নতুন সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা গড়ে তুলতে চাচ্ছে।

তাদের আন্দোলন শুরু হয় ডিজিটাল পরিসরে, কিন্তু খুব অল্প সময়েই তা রূপ নেয় এক পূর্ণাঙ্গ গণ–অভ্যুত্থানে—যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দা থেকে মুহূর্তেই তারা দখল নেয় রাজপথ।

নেপালে গণবিক্ষোভের কারণ ও পটভূমি

বাংলাদেশে যেখানে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ইস্যু থেকে, সেখানে নেপালের সাম্প্রতিক গণবিক্ষোভের সূত্রপাত হয় এক ভিন্ন কারণকে কেন্দ্র করে; সরকারের সিদ্ধান্তে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের ঘোষণায়।

সরকারের দাবি ছিল, এসব সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ভুয়া খবর ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চলছে। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন–জি এটিকে দেখেছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে।

শুরুতে প্রতিবাদ হয় অনলাইনে, বিশেষ করে টিকটক ও ডিসকোর্ডের মতো প্ল্যাটফর্মে; কিন্তু খুব দ্রুতই সেই ডিজিটাল প্রতিবাদ রাস্তায় নেমে আসে আর কয়েক দিনের মধ্যে তা রূপ নেয় এক বিশাল গণ–আন্দোলনে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অভ্যুত্থানের ক্ষেত্রে কেবল স্ফুলিঙ্গের কাজ করেছে। এর নিচে জমে ছিল বছরের পর বছর ধরে বেড়ে ওঠা দুর্নীতি, বেকারত্ব, প্রশাসনিক অনিশ্চয়তা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি গভীর অবিশ্বাস।

‘নেপো কিডস’ শব্দগুচ্ছটি নেপালের তরুণসমাজে একটি নতুন রাজনৈতিক প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এটি কেবল প্রজন্মের ক্ষোভ প্রকাশ করছে না, বরং একধরনের নৈতিক প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রজন ম র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণ: র‍্যাবের হাতে আরেক আসামি গ্রেপ্তার

ঢাকার সাভারে টিউশনি থেকে বাসায় ফেরার পথে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগে বিপ্লব রোজারিওকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। তিনি ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ২ নম্বর আসামি।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‍্যাবের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে (মিডিয়া) দেওয়া এক ক্ষুদে বার্তায় নিশ্চিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন

সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ, মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব-৪ (সিপিসি-২) এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, “আমরা ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”

এ নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তিন আসামিই গ্রেপ্তার হলো। 

এর আগে, রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত সোহেল রোজারিওকে (৩৭) গাজিপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  

মামলায় সোহেল রোজারিও বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী তরুণীকে ধর্ষণ এবং বাকীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগীতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ঢাকা/আরিফুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ