বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু বলেছেন, ‘‘জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আর বেগম খালেদা জিয়া তাদের দুজনকে মন্ত্রিসভায় বসিয়েছিলেন। অথচ আজ তারা তা অস্বীকার করছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটু মন্তব্য করছে। তাদের কাজই হলো ভাউতাবাজি।’’

সোমবার (২০ অক্টোবর) মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইমামগঞ্জ বাজারে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সিরাজদিখান উপজেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক শাহ্ আলম হাওলাদারের সভাপতিত্ব ও সদস্য সচিব মো.

সজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা তাঁতী দলের সভাপতি আশরাফ হোসেন বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ উদ্দিন গাজী।

আরো উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, জসীম মোল্লা, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন খান খোকন প্রমুখ।

ঢাকা/রতন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রীলঙ্কায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৬১৮, এশিয়া জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

শ্রীলঙ্কার সরকার দেশটিতে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে ইতিমধ্যেই বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের নতুন সতর্কতা জারি করেছে। রবিবারের (৭ ডিসেম্বর) সর্বশেষ তথ্যানুসারে, দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে, এশিয়ার অন্যান্য অংশে সাম্প্রতিক বন্যা-ভূমিধসে নিহতের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা ১,৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। খবর আল-জাজিরার। 

আরো পড়ুন:

দেশ পুনর্গঠনে ‘৩০ কোটি’ রুপি দিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট

শ্রীলঙ্কায় ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল পাঠাবে বাংলাদেশ

রবিবার (৯ ডিসেম্বর) শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) সতর্ক করে বলেছে, মৌসুমি ঝড় আরো বৃষ্টিপাত নিয়ে আসছে এবং এর ফলে মধ্য পার্বত্য অঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম মধ্যভূমিসহ পাহাড়ি ঢালগুলোতে ভূমিধস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। 

গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহের কারণে সৃষ্ট ভূমিধস ও জলবায়ু সংকট-জনিত বন্যায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ), যা দ্বীপ রাষ্ট্রটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

রবিবার, শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রস্থলে ভূমিধসের কারণে বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে সাহায্য পাঠানোর জন্য হেলিকপ্টার ও বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশটির বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রবিবার তারা মিয়ানমার থেকে বিমান ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী পেয়েছে, যা বিদেশি সাহায্যের সর্বশেষ চালান।

শ্রীলঙ্কান সরকার ৬১৮ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে শুধু চা-বাগান অধ্যুষিত মধ্যাঞ্চলেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬৪ জন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০৯ জন।

ডিএমসি জানিয়েছে, রবিবার নাগাদ দ্বীপজুড়ে বন্যার পানি কমে যাওয়ার ফলে সরকারি শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজার থেকে কমে ১ লাখে দাঁড়িয়েছে।

ডিএমসি আরো জানিয়েছে, ৭৫ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ৫ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনে ৭ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জানায়, তারা পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য শ্রীলঙ্কার অতিরিক্ত ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুরোধ বিবেচনা করছে।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে শুক্রবার সংসদে বলেন, “শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরুদ্ধার করেছে, কিন্তু তা সর্বশেষ ধাক্কা সহ্য করার মতো শক্তিশালী নয়।”

আল-জাজিরা জানিয়েছে, এশিয়ার অন্যান্য স্থানে যেমন- ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের সুমাত্রা দ্বীপে সাম্প্রতিক বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৯০৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং ৪১০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এই অঞ্চলে আট লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সুমাত্রার অনেক বাসিন্দা এখনও ২০০৪ সালের সুনামির আতঙ্কে ভুগছেন, যা আচেহকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।  সেসময় সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সমুদ্রগর্ভে সংঘটিত ভূমিকম্প যে সুনামির অবতারণা ঘটায়, তাতে ইন্দোনেশিয়া থেকে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত দুই লাখ ত্রিশ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এর মধ্যে শুধু ইন্দোনেশিয়ার আচেতেই ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। 

সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় থাইল্যান্ডেও কমপক্ষে ২৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়ায় দুজন এবং ভিয়েতনামে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে দুজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ