সিলেটকে দুইশ রানের চ্যালেঞ্জ চিটাগংয়ের
Published: 13th, January 2025 GMT
শুরুতে উসমান খানের ঝড়ো ফিফটি। মাঝে গ্রাহাম ক্লার্কের বিধ্বংসী ইনিংস। এবং শেষে হায়দার আলীর ক্যামিও। তিন বিদেশি ক্রিকেটারের হাত ধরে চিটাগং কিংস রানের ফোয়ারা ছুটাল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং কিংস ৬ উইকেটে ২০৩ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে। বিপিএলের সিলেট পর্বের শেষ দিনে জয় দিয়ে সিলেট শেষ করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে চিটাগং কিংসকে অল্পতে আটকে রাখার পরিকল্পনা ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। কিন্তু গোটা ইনিংসে তাদের বোলাররা যেভাবে হাত খুলে রান দিয়েছেন তাতে একবারও মনে হয়নি অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যথার্থ।
আরো পড়ুন:
রেকর্ড রানে জেতার ম্যাচে ঢাকার প্রাপ্তি লিটন-তানজিদের সেঞ্চুরি
‘টাইগার যখন ঘুরে তাকায়, সব বরবাদ হয়ে যায়’
ধারাবাহিক রানে থাকা উসমান এবারও দলের হাল ধরেন শুরুতে। ৩৫ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ রান করেন। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এক ছক্কা হাঁকিয়ে আটকে যান। দ্বিতীয় উইকেটে ক্লার্ক ও উসমান ৩৯ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন। প্রতি আক্রমণে গিয়ে দ্রুত রান তুলে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন তারা।
ফিফটির পর উসমান থেমে গেলেও গ্রাহাম টিকে ছিলেন আরও কিছুক্ষণ। সিলেটের অধিনায়ককে বেরিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দেন উসমান। ৫ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৩ বলে ৬০ রান করা ক্লার্ক সাজঘরে ফেরেন নাহিদুল ইসলামের বলে।
শামীম হোসেনের পরবর্তী পাঁচে হায়দার আলীকে আসতে দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু ডানহাতি হার্ডহিটার শেষের দাবি মিটিয়েছেন বেশ ভালোভাবে। মাত্র ১৮ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ রান করেন। ২৩৩.
ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ৯৯ রান তোলা চিটাগং শেষ ১০ ওভারে পায় ১০৪ রান। বোঝাই যাচ্ছে একই ছন্দে তারা ব্যাটিং করেছে। যেখানে সিলেটের বোলাররা ছিলেন স্রেফ দর্শক।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ‘অতিশয় বিরক্তিকর’: ট্রাম্প
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার আগে বিপুল পরিমাণে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ৫ শিশুসহ অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। কিয়েভে যুদ্ধের এই পর্যায়ে রাশিয়ার এতটা ব্যাপক হামলাকে ‘অতিশয় বিরক্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া যা করছে, আমি মনে করি, তা অতিশয় বিরক্তিকর। আমি মনে করি, এটা সত্যিই জঘন্য।’
ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রাশিয়া সফরে যাবেন। বর্তমানে তিনি মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন।
গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় গ্রহণ করেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ শুরু করেন ট্রাম্প। এরপর স্টিভ উইটকফ বেশ কয়েকবার মস্কো সফর করেছেন। সফরে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। তখন ইউক্রেনে হামলা কমিয়েছিল রাশিয়া।
কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝি যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের সময় বেঁধে দেন ট্রাম্প। সম্প্রতি তা কমিয়ে ১০-১২ দিনে নামিয়ে এনেছেন তিনি। বেঁধে দেওয়া এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি সেই হুমকি পুনরাবৃত্তি করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলা বাড়ানো নিয়ে সম্প্রতি বারবার হতাশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
‘শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের ডাকা’
শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভে রাশিয়ার আগের দিনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আমরা যে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছিলাম, তা শেষ হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘হামলায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন পর্যন্ত ৫ শিশুসহ ৩১ জন নিহত হয়েছেন। নিহত শিশুদের মধ্যে কনিষ্ঠজনের বয়স দুই বছর।’ তিনি জানান, রাশিয়া জুলাই মাসে ইউক্রেনে ৩ হাজার ৮০০–এর বেশি ড্রোন ও প্রায় ২৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। কিয়েভকে নিশানা করেই অধিকাংশ হামলা চালানো হয়েছে।
এদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন, ‘(ইউক্রেনে) যা ঘটছে, তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ইউরোপীয় নেতারা এবং অন্যান্য অংশীদাররা স্পষ্টভাবে দেখছেন এবং রাশিয়ার নিন্দা জানাচ্ছেন। বিষয়টি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’ যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং অন্যান্য বিশ্বশক্তির যৌথ চেষ্টার মাধ্যমেই রাশিয়াকে থামানো সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আগের দিন বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত এক সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়াকে যুদ্ধ থামাতে ‘চাপ দিয়ে বাধ্য করা’ সম্ভব। স্নায়ুযুদ্ধকালীন হেলসিংকি চুক্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
বক্তৃতায় জেলেনস্কি বলেন, ‘বিশ্ব যদি রাশিয়ার শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্য স্থির না করে, তাহলে এর অর্থ দাঁড়ায়, যুদ্ধ শেষ হলেও প্রতিবেশী দেশগুলোকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে মস্কো।’
ধ্বংসস্তূপ থেকে সন্তানকে উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকা এক মা অপর এক ব্যক্তিকে আলিঙ্গন করছেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে, ৩১ জুলাই ২০২৫