চট্টগ্রামে ঢোল পিটিয়ে বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার
Published: 13th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আদালতের আদেশে ৩৭ বছর ধরে বেদখলে থাকা এক ব্যক্তির ৫২ শতক জমি উদ্ধার হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকঢোল পিটিয়ে এসব জমি প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া জমি আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের রায়পুর ওয়াহেদ আলী চৌধুরী বাজারসংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আদালতের পক্ষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরিমাপ করে উদ্ধার করা জমিতে লাল নিশানা গেড়ে দেওয়া হয়। জমি উদ্ধার উপলক্ষে রান্না করা হয় বিরিয়ানিও।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে ৫২ শতক জায়গা নিয়ে বিরোধ লাগে স্থানীয় আবদুল্লাহ ও আলী আহমদের। এ নিয়ে উভয় পক্ষের বিরোধ বাড়লে এলাকায় সালিস বৈঠক হয়। তবে এতে সমাধান না হওয়ায় আবদুল্লাহর ছেলে কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে পটিয়া আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা করেন। ২০০৮ সালে ওই মামলার রায়ে কামাল উদ্দিনকে জায়গার মালিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে রায়ের পর প্রতিপক্ষ আলী আহমদ চট্টগ্রাম আদালতে আপিল করেন। ওই আপিল মামলাও ২০১৭ সালে খারিজ হয়ে যায়। পরে কামাল উদ্দিন চূড়ান্ত রায়ের জন্য আপিল করেন। ২০২৪ সালে চূড়ান্ত রায়ে আদালত ওই জমি কামাল উদ্দিনকে দখল করে দিতে প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দেন।
জমি পরিমাপের পর সীমানা চিহ্নিত করে খুঁটি গেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আজ রোববার দুপুরে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা
জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।
শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কি? -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলের প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।