জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পের উপ-প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম নতুন প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের অনিয়ম, শিক্ষা ছুটি ছাড়াই পিএইচডি গবেষণা করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

তবে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও লোক না পাওয়ার অযুহাত এনে তাকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জবি উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আমিরুল ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ- প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় শিক্ষা ছুটি ছাড়াই ডুয়েট থেকে রেগুলার মাস্টার্স করেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা না মেনে শিক্ষা ছুটি ছাড়াই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পিএইচডি করছেন বলে জানা গেছে।

তিনি টেন্ডার ছাড়াই প্রকৌশল দফতরকে পাশ কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বড় বড় কাজ ও কেনাকাটা সম্পন্ন করতেন। তিনি তার দুর্নীতি জায়েজ করার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসর সাবেক কোষাধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার ব‍্যক্তিগত কক্ষে একসঙ্গে নামাজ পড়া, ব‍্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করা, যাত্রাবাড়ীতে বাড়ি বানিয়ে দেওয়া- এসবই ছিল তার কাজ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সূত্র থেকে আরও জানা গেছে, দ্বিতীয় ক‍্যাম্পাস প্রকল্পের যাবতীয় দুর্নীতির ‘মূল হোতা’ এ আমিরুল ইসলাম। কেননা প্রকল্প অফিসের একমাত্র স্থায়ী প্রকৌশল প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান তাকে প্রকৌশল দপ্তর থেকে প্রকল্পের বিশেষ দায়িত্বে নিয়োগ প্রদান করেন।

তিনি প্রকল্পের প্রকৌশল প্রধান (২০০ একর জায়গায় রাস্তা তৈরির কারিগর ও একমাত্র পাহাড়াদার) হয়ে কাজ বাস্তবায়ন করেন। আবার তিনিই প্রকল্পের টপ সুপারভিশন কমিটির প্রকৌশল সদস‍্য সচিব হয়ে কাজের মান যাচাই করেছেন গত ৬ বছর ধরে। তিনি নিজেই কাজ করেছেন, আবার সেই কাজের সুপারভিশনের দায়িত্ব‌ও তিনি পালন করেছেন। এ ক্ষেত্রে কে কার কাজ বুঝে নিয়েছেন, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

সদস্য সচিব নিয়োগ পেয়েই নিজেকে অপরিহার্য প্রতিষ্ঠা করার জন‍্য পরামর্শকের কাজও নিজেই সম্পন্ন করতেন। সব ড্রয়িং ডিজাইন (ডিজিটাল কপি করে) নিজের আয়ত্তে নিয়ে পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়া দিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল ডিজাইন করেন। এ সুযোগে দ্বিতীয় ক‍্যাম্পাসের অধিগ্রহণকৃত সব নিলামের খোয়া বাউন্ডারি ওয়ালে ব‍্যবহার ও তার সুযোগ তৈরি হয়।

এছাড়াও লেকে অনিয়ম, পুকুর, ঘাটলা, বালু ভরাট কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ, অতিরিক্ত ইস্টিমেইট, বিল সুপারিশ, প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার যাবতীয় কাজের যৌথ প্রযোজক উপ-প্রকৌশলী তিনি।

প্রকৌশলী আমিরুল ইসলামের এসব দুর্নীতির মূলখুটি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কথা বলে অডিটোরিয়ামে কান্নাকাটি করা সেই মিজানুর রহমানের শিক্ষক ও ফ‍্যাসিবাদী আমলে দুইবারের সাবেক জবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া। তিনি আমিরুলকে তার ছেলে বলে সম্বোধন করতেন। এ কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কাজের সঙ্গে জড়িয়েছেন, সেখানেই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ আমিরুলের বিরুদ্ধে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’ এর প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ আলী আহমেদ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করায় গত ৯ জানুয়ারি পরবর্তী প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় আমিরুল ইসলামকে। পদত্যাগ করা সৈয়দ আলীর বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ।

সাবেক প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ আলী আহমেদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসের প্রকল্প দেখভাল করছিলেন। গত ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

তদন্ত কমিটিতে বলা হয়েছিল, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, কেমিক্যালস ও গ্লাসওয়ার মালামালের বিষয়ে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯০০ টাকার স্থলে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮৫০ টাকা নথিতে দিয়েছেন তিনি।

নতুন দায়িত্বে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো.

আমিরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে রাইজিংবিডির প্রতিবেদককে তিনি সশরীরে দেখা করতে বলেন। কিন্তু দেখা করতে গেলে তাকে কোনভাবেই দপ্তরে পাওয়া যায়নি। পরে একবার তারা মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। একপর্যায়ে তিনি তার মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। 

এছাড়া সাবেক জবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া ও সাবেক প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ আলী আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসায় তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলোও বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের হাতে এখন অন্য কোনো বিকল্প নেই। কাজটি তো চালাতে হবে। তাই সাময়িকভাবে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর দক্ষ প্রকল্প পরিচালক হিসেবে বগুড়ার একজনকে পেলেও শিক্ষার্থীদের বিশৃঙ্খলা করার কারণেই নাকি তাকে দায়িত্বে আনা হয়নি। ইউসিজি থেকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা অনুমতি চেয়েছি।”

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের

এমন পারফরম্যান্সই তো চাওয়ার থাকে ভালো দলের কাছে। মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্য, সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি, তাইজুল ইসলামের ৯ উইকেট শিকারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল জয় এনে দেয় বাংলাদেশকে। প্রথম টেস্ট হারের পর যে সমালোচনা হয়েছিল, তার জবাবটা বোধ হয় দ্বিতীয় টেস্ট তিন দিনে জিতে দিয়ে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ‘বাউন্স ব্যাক’ করে সিরিজ ড্র ১-১-এ।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বীরোচিত পারফরম্যান্স ছিল টাইগারদের। এটি সম্ভব হয়েছে পছন্দের উইকেটে খেলা হওয়ায়। স্পিন ভুবনে উইকেট উৎসব করেছেন তাইজুল, মিরাজ গাঁটছড়া বেঁধে। সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি দারুণ অর্জন অধারাবাহিক ব্যাটিং লাইনআপের। এই টেস্টে ওপেনিং জুটি ভালো করেছে। লম্বা সময় পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ভালোই সঙ্গ দেন সাদমানকে। লোয়ার মিডলঅর্ডারে মিরাজের লড়াই ছিল দেখার মতো।

টেলএন্ডারদের নিয়ে রীতিমতো বাজিমাত করেছেন তিনি। শেষ ৩ উইকেটে তৃতীয় দিন ১৫৩ রান যোগ করেন। বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন ৪৪৪ রানে। ২১৭ রানের লিড থাকায় ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন দেখায়। মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সে স্বপ্ন পূরণ হয়। সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার তাঁর। 

গত বছর দেশের মাটিতে টেস্টে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুটাও ভালো ছিল না। সিলেটে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে। সিরিজ বাঁচাতে চট্টগ্রামে জিততেই হতো। লক্ষ্যে পৌঁছাতে কন্ডিশনেও পরিবর্তন আনা হয়। চট্টগ্রামের উইকেটে খেলা হয় দ্বিতীয় টেস্ট। যেখানে শাসন ছিল স্পিনারদের। পছন্দের উইকেট পাওয়ায় তিন স্পিনার নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। তিনজনই দারুণ বোলিং করেন প্রথম থেকে।

দীর্ঘ বিরতির পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া অফস্পিনার নাঈম হাসান চ্যালেঞ্জ নিয়ে বোলিং করে গেছেন। বেশি উইকেট না পেলেও এক প্রান্তে ব্যাটারদের চাপে ফেলেছেন। যার সুফল তাইজুল ও মিরাজ পেয়েছেন অন্য প্রান্তে। প্রথম দিন শেষ সেশনে ব্রেক থ্রু দেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনার পরে পিক করে ৬ উইকেট শিকার করেন। জিম্বাবুয়ে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে প্রথম দিন শেষ করে। পরের দিন এক বল খেলে ওই রানেই অলআউট হয়। বাংলাদেশ ব্যাটিং শুরু করে বড় লক্ষ্য নিয়ে। সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি করায় প্রতিপক্ষকে ছাড়িয়ে যাওয়া সহজ হয়। সাদমানের সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম কিছু রান করায় ৭ উইকেটে ২৯১ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ।

সেদিন সংবাদ সম্মেলনে সাদমান আশা প্রকাশ করেন, মিরাজ ও তাইজুল জুটি করবেন। অষ্টম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি দু’জনের। বেশি ভালো করেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। মিরাজের সঙ্গে ১৫৬ বলে ৯৬ রানের জুটি। অভিষেক টেস্টে সাকিবের ব্যাটিং দারুণ লেগেছে অধিনায়ক শান্তর কাছে। ৮০ বলে ৪১ রান করেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা, মাথায় বল লাগার পরও বিচলিত হননি তিনি। মিরাজ ছাড়া চট্টগ্রাম টেস্টের প্রাপ্তি হিসেবে ওপেনিং জুটির ভালো খেলা, সাদমানের সেঞ্চুরি, তাইজুলের ৫ উইকেট শিকার ও সাকিবের রান করাকে মনে করেন শান্ত। 

শেষের তিন উইকেটে তৃতীয় দিন প্রায় দুই সেশন ব্যাট করে বাংলাদেশ। তাইজুল, সাকিব ও হাসানকে নিয়ে ১৫৩ রান যোগ করে। মিরাজ ১০৪ রান করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে উইকেট দেন। নার্ভাস নাইটির ঘরে প্রবেশ করে কিছুটা ঝুঁকির মুখে ছিলেন মিরাজ। ৯৮ রানে পৌঁছানোর পর সেঞ্চুরি ছুঁতে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফিল্ডারের কাছে বল চলে যাওয়ায় এক রানে থামতে হয়। তখন স্ট্রাইকে হাসান থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল সবাই। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সবাই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। কখন হাসান আউট হয়ে যায়, সে ভয় কাজ করছিল হয়তো। কিন্তু হাসান ছিলেন দৃঢ়চেতা। মাসাকাদজাকে ডিফেন্স করে স্বস্তি দেন।

মিরাজ স্ট্রাইকে এসে মেদেভেরের প্রথম দুই বলে ঝুঁকি নেননি। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ও দ্বিতীয় টেস্টের সেরা খেলোয়াড় মিরাজ। প্রথম ম্যাচের উভয় ইনিংসে ৫ উইকেট করে ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে অতীতের সব পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে গেছেন। সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫ উইকেটপ্রাপ্তি, দুই হাজার রানের মাইলফলক পেয়েছেন। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২১৭ রানে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১১১ রানে। ফ্লাডলাইটের আলো জ্বেলে নির্ধারিত সময়ের বেশি খেলান আম্পায়াররা। প্রায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খেলা হয়। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটাররা তাতে আপত্তি করেননি। তাইজুল ৩, নাঈম ১ ও মিরাজ ৫ উইকেট নিলে ম্যাচ শেষ হয়।  

সিলেটে প্রথম টেস্ট হারের পর চট্টগ্রামে প্রভাব বিস্তার করে খেলে ম্যাচ জেতার পরও খুশি নন অধিনায়ক শান্ত, ‘আমি টেস্ট সিরিজ ড্র করে খুশি না। কারণ, প্রথম টেস্টে আমরা একেবারেই ভালো খেলিনি। এই টেস্টে একপেশে খেলে জিতলেও সিরিজে আরও ভালো খেলা উচিত ছিল। সিরিজটি জিততে হতো।’ টাইগার দলপতি জানান, এই পারফরম্যান্স শ্রীলঙ্কা সফরে কাজে দেবে। দেশের মাটিতে স্পোর্টিং উইকেট বানিয়ে বিদেশে খেলার পরিবেশ তৈরি করছিল বিসিবি। ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হচ্ছে। কিউইদের বিপক্ষে সিলেটে ঐতিহাসিক জয় পেলেও মিরপুর থেকে হারতে শুরু করে। দেশের মাটিতে টানা ছয় হারের পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ