পাকা ভবনের কাজ করার সময় মাটি চাপা পড়েন রুবেল শেখ (২৩) নামের এক শ্রমিক। এলাকাবাসী ও আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ৩০ মিনিট পর জীবিত তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি পৌরসভার শ্রীরামপুর গ্রামের মাফুজার শেখের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার সকালে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে রুবেলকে। 

শ্রীরামপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের পাকা ভবন করার জন্য হাউজ খননের কাজ করছিলেন সাত শ্রমিক। এ সময় পাড়ের মাটি ভেঙে পড়ে চাপা পড়েন শ্রমিক রুবেল। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে এলাকাবাসী যোগ দেন। ছুটে আসেন আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। ৩০ মিনিটের চেষ্টায় তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

ভবনের মালিক শ্রীরামপুরের বাসিন্দা মোশরাফ হোসেন জানান, চারতলা ভবন করার জন্য খননের কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এসময় মাটির দেয়াল ভেঙে একজন শ্রমিক মাটি চাপা পড়েন। তার সব চিকিৎসার ব্যয় বহন করা হবে।

আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবিদ হোসেন জানান, শ্রমিক রুবেল শেখ এখন ভালো আছেন। তার হাতের কিছু অংশ কেটে গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আসলাম হোসেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ