দ্য লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছেন না। হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে এলেই তবে লিভার প্রতিস্থাপনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

এমন তথ্য জানিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য লন্ডন থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, খালেদা জিয়ার হার্টে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। যদিও এতে উদ্বেগের কিছু নেই। 

এদিকে বৃহস্পতিবার লন্ডন ক্লিনিকের সামনে ব্রিফিংকালে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা.

এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত সব পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পরই ‘লিভার প্রতিস্থাপনের’ সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল বোর্ড। 

ডা. জাহিদ বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, তাঁর বয়স এখন ৭৯ বছর। এ কারণে আদৌ ‘লিভার প্রতিস্থাপন’ করার মতো শারীরিক অবস্থায় তিনি আছেন কিনা, বা কীভাবে করলে ভালো ফল মিলবে, সেসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত বিচার-বিশ্লেষণের সময় এখনও আসেনি। 

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় অতি দ্রুত যেসব পরিবর্তন আনা দরকার, সেগুলোই চিকিৎসকরা বিবেচনায় নিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, দ্য লন্ডন ক্লিনিকের লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বে ছয় থেকে সাতজনের একটি মেডিকেল টিম রয়েছে। তারা আমাদের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে বসেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, আলোচনা করছেন।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর
  • দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন