সমস্ত ধর্মে পৃথিবীর সকল মানুষের শান্তি ও মঙ্গলের কথা বলা হয়েছে: পুলিশ সুপার
Published: 18th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেছেন, আপনার মনের ভেতর যা আছে তাই ধর্ম। সকলের মনের ভেতর স্রস্টার প্রদত্ত দয়া, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাই হল পরম ধর্ম। কোন ধর্মই কারো একার কথা বলেনি, সমস্ত ধর্মে পৃথিবীর সকল মানুষের শান্তি ও মঙ্গলের কথা বলা হয়েছে। শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র ও রামচন্দ্র'র আবির্ভাব হওয়া এ পৃথিবীতে শান্তির বার্তা ও মানুষের মঙ্গলের জন্য হয়েছে। আমি সকল ধর্মের সকল ধর্ম জাতকদের শ্রদ্ধা করি। কারণ, তারা মানুষকে সৎ পথে চলতে উৎসাহিত করেন। আমি প্রশাসনের লোক, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার কাজ। আপনাদের সকল সুবিধা অসুবিধা আমাকে জানাবেন। আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
শনিবার (১৮ই জানুয়ারী) রাতে নগরীর পালপাড়া শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ মন্দিরে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৭তম আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ ও সৎসঙ্গ নিবন্ধন শতবার্ষিকী মহোৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৭তম আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসবে পাবনা কেন্দ্রীয় আশ্রমের নেতা শ্রী হরিপদ মজুমদার এর সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সৎসঙ্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও পিএইচডি গবেষক শ্রী মাদল দেব বর্মন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির আহম্মেদ, শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৭তম আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শ্রী প্রদীপ দে (অধ্বর্য্যু), মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শংকর রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃঞ্চ আচার্য, শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি শ্রী শ্যামল কর, সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিশ্বজিৎ সাহা (অধ্বর্য্যু), ১৩৭তম আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব শ্রী হরিপদ পাল ও সদস্য সচিব শ্রী নিতাই রায় সহ কমিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র সকল
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।