সাতক্ষীরায় দুই ইটভাটাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
Published: 22nd, January 2025 GMT
সাতক্ষীরার তালায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুটি ইটভাটায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের জেল প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের এস.এম.এম.বি ব্রিকস এবং এস.বি ব্রিকস এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ইটভাটাগুলোতে কাঠ পোড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলে এস.
তিনি জানান, অভিযানের সময় ইটভাটা মালিকরা পলাতক থাকায় এবং জরিমানার টাকা দিতে না পারায় এস.বি ব্রিকসের ম্যানেজার লাবলু সর্দার এবং এস.এম.এম.বি ব্রিকসের ম্যানেজার আল আমিনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ ও অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে এ ধরনের অভিযান কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/শাহীন/ইমন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস