চীনের সানমিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুইদিন ব্যাপী শীতকালীন শিক্ষা সফর। 

শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য ছিল, চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর ধারণা তৈরি এবং চীন ও অন্যান্য জাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকে উৎসাহিত করা।

২০ থেকে ২১ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী শিক্ষা সফরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অফিসের সহযোগিতায় স্কুল অফ ওভারসিজ অ্যাডুকেশন ফুচিয়ান প্রদেশের সানমিং শহরের ইউশি কাউন্টিতে আয়োজন করে।

শিক্ষা সফর চলাকালীন, প্রতিনিধিদলটি হাতে কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং তাদের বোধগম্যতা আরও গভীর করার জন্য গুইফং প্রাচীন গ্রাম, কনফুসিয়ান মন্দির, ঝুজি সাংস্কৃতিক উদ্যান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করে।

এসময়, তারা মিং এবং ছিং রাজবংশের প্রাচীন পারিবারিক সংস্কৃতি এবং স্থাপত্য কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, কনফুসিয়ান সংস্কৃতির, প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থা এবং এর নীতিমালা সম্পর্কে গভীর ধারণা অর্জন, স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে লোক রীতিনীতি এবং অনন্য খাবার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগও লাভ করে। তাছাড়া, নব্য-কনফুসিয়ানিজমের প্রধান ব্যক্তিত্ব ঝু শি'র জীবন, কর্ম, দর্শন এবং বিশ্বাস সম্পর্কে একটি বিস্তৃত ধারণা অর্জন করে।

বাংলাদেশ, মালি, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া, উজবেকিস্তান এবং রাশিয়ার ২০ জনেরও বেশি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী এই অনন্য শীতকালীন ছুটির সামাজিক অনুশীলন কার্যকলাপে অংশ নেন।

ঢাকা/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শূন্যের দুনিয়ায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ওপরে কেউ নেই

পাকিস্তান দলে সাইম আইয়ুবের ভূমিকাটা কী? এটা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হতে পারেন। কারণ, এই ওপেনার এশিয়া কাপে তিন ম্যাচ খেলে এখনো রানের দেখা পাননি। টানা তিন ম্যাচেই আউট হয়েছেন শূন্য রানে। অথচ এই সাইমই বল হাতে নিয়েছেন ৬ উইকেট—পাকিস্তান দলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি!

পাকিস্তান দলের কোনো ক্রিকেটারের টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। পাকিস্তানের আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আবদুল্লাহ শফিক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা চারবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

সাবেক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজও একবার টানা তিন শূন্যের তিতা স্বাদ পেয়েছেন। সেটি সাইমের মতোই ওপেনিংয়ে নেমে। এ দুজন ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ওপেনার হিসেবে টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

চলতি বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাইম শূন্য রানে আউট হয়েছেন পাঁচবার। চলতি বছর যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ এবং এই তালিকায় পাকিস্তান ওপেনারকে সঙ্গ দিচ্ছেন আরেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান—হাসান নেওয়াজ। তিনিও চলতি বছর পাঁচবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। হাসান (২২) যদিও সাইমের (১৭) চেয়ে ৫ ইনিংস বেশি খেলেছেন।

৫চলতি বছরে পাঁচবার শূন্যতে আউট হয়েছেন সাইম।

সাইম সব মিলিয়ে পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আটবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন, যা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ১০বার পাকিস্তানের হয়ে শূন্য রানে আউট হয়েছেন উমর আকমল। আটবার শূন্য রানে আউট হয়ে সাইমের পাশে শহীদ আফ্রিদি। তবে আফ্রিদি খেলেছেন ৯০ ইনিংস, সাইম ৪৪।

আরও পড়ুনপাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো২ ঘণ্টা আগে

আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে ২০২৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ২১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা ১১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। চলতি বছর বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চারবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন।

পারভেজ হোসেন চলতি বছর চারবার শূন্যতে আউট হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ