ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২ কর্মচারি উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৭ কার্টুন মশার কয়েল  ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে  প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী রতন দত্ত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী বিরুদ্ধে  ।

এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ওরফে এনামুল হক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) বিকেলে রতন দত্তসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত বুধবার (২২ জানুয়ারী) রাত ৮টায় শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার কৃঞ্চপুর এলাকার মৃত মোহাম্মদ বেপারী ছেলে আব্দুল মান্নান ওরফে এনামুল হক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে শহরে ও বন্দরে মশার কয়েলের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এদিকে শহরের নিতাইগঞ্জস্থ নলুয়াপাড়া এলাকার মামুন মিয়া বাড়ি ভাড়াটিয়া রতন দত্ত মশার কয়েলের ব্যবসা করার জন্য আব্দুল মান্নান মিয়ার কাছে ডিলারশীপ নিযুক্ত হয়। এ সুবাদে রতন দত্ত বিভিন্ন সময়ে আব্দুল মান্নান মিয়ার কাছ থেকে বাকিতে মশার কয়েল ক্রয় করত। 

এর ধারাবাহিকতা গত ৩ অক্টোবর ডিলার রতন দত্ত আব্দুল মান্নান মিয়ার কাছ থেকে ২৫০ কার্টুন বেগুনী নিউ সোলার ও ১০ কার্টুন  সুপার কয়েল যার মূল্য ২ লাখ ৭৬ হাজার ৯'শ টাকা   ৪৫ দিনের মধ্য পরিশোধ করার  কথা বলে বাকিতে  ক্রয় করে। পরে ডিলার রতন দত্ত পাওনা টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তালবাহানাসহ উল্টা আব্দুল মান্নান মিয়ার নিকট টাকা দাবি করে।

এ ব্যাপারে  উভয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিতিতে একাধিকবার মিমাংসা চেষ্টা করা হলেও রতন দত্ত কোন প্রকার মিমাংসা আসেনি উল্টা হুমকি দামকি প্রদর্শন করে আসছে।

এর ধারাবাহিকতা গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ৮টায় আব্দুল মান্নান কর্মচারি  মনির হোসেন (৩০) ও ফারুক (২৮) মশার কয়েল ডেলিভারি দিতে আসলে ওই সময় রতন দত্ত ও তার বাড়িওয়ালা মামুন এবং ইসমাইলসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী তাদেরকে বেদম ভাবে পিটিয়ে ৪ কার্টুন নিউ সোলার ও ৩ কার্টুন সুপার সোলার প্লাস যার মূল্য ৯ হাজার ৫শ’ ১০টাকা মালামাল জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন

বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) নিয়োগবিধিতে সমন্বিত বিএসসি ডিগ্রি অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।

আরো পড়ুন:

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন

ইবিতে ছাত্রীর পোশাক নিয়ে শিক্ষকের কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘অধিকারের নামে কেন এই বৈষম্য?’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরাধ নয়’, ‘ভেটেরিনারি একটাই পরিবার, কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে সমান অধিকার’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘ভেটেরিনারি পরিবারে সমান অধিকার’, ‘সমন্বিত শিক্ষা দেশের সম্মান’, ‘আদিম পশু পালনে নয়, বরং সমন্বিত ভেটেরিনারি শিক্ষা দেশের সম্মান’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ সময় গবি ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগে বৈষম্য করছে। এটি আমাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার। আমরা ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ম্যামসহ বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা বারবার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”

আরেক শিক্ষার্থী মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স চালু করা হয়। আমরা পশু চিকিৎসা ও পশু পালন—উভয় বিষয়ে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করি। অথচ বিএলআরআই আমাদের কোনো গবেষণা বা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে না। এটি বৈষম্যমূলক ও স্বৈরাচারী আচরণ।”

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ