পটুয়াখালীতে মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল আজ
Published: 25th, January 2025 GMT
প্রথমবারের মতো পটুয়াখালী আসছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তার আগমন উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে ১০টি মাঠ। পুরো শহর সাজানো হয়েছে নতুন সাজে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পৌর শহরের পুলিশ লাইন্স অথবা শহীদ আবুল হোসেন স্টেডিয়াম মাঠে নামবেন তিনি। সন্ধ্যায় পৌর শহরের শহীদ মিনার মাঠে তার আলোচনার কথা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও তার ভক্তরা মাঠে আসতে শুরু করেছেন। অনেকে এক দিন আগেই চলে এসেছেন। আয়োজক কমিটি আশা করছেন, মাহফিল উপলক্ষে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে।
এদিকে, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আন নাহিয়ান বলেন, ‘‘আমদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। শৃঙ্খলা রক্ষায় এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। আশা করছি, সবার সহযোগিতায় মাহফিল সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।’’
পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘‘অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে তৎপর রয়েছে। এছাড়া, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মাঠে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ করবেন।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি শেষে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হচ্ছে কাল
ঈদুল আজহা উপলক্ষে একটানা ১০ দিন বন্ধের পর আগামীকাল রোববার ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘ ছুটির পর আবারও স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে যাচ্ছে আর্থিক খাত। বন্ধের এই সময়ে অনলাইন ও এটিএম বুথের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের সুযোগ থাকলেও শেয়ারবাজারে কোনো লেনদেন হয়নি।
আর্থিক খাত–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিকট অতীতে এক টানা ১০ দিন ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধের নজির নেই। ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসা–বাণিজ্যেও একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। বন্ধের এ সময়ে লেনদেন করতে গিয়ে ব্যাংক গ্রাহকদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। কারণ, এ সময়ে অনেক গ্রাহক এটিএম থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাননি। বেশির ভাগ ব্যাংক তাদের নিজেদের গ্রাহক ছাড়া অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য এটিএম সেবা সীমিত করে দিয়েছিল। এ কারণে এটিএম থেকে অনেকে টাকা তুলতে পারেননি। তবে অনলাইন বা ইন্টারনেটনির্ভর লেনদেন চালু ছিল।
এদিকে করোনাভাইরাসের মহামারির ছুটির পর শেয়ারবাজারে টানা ১০ দিন লেনদেন বন্ধ ছিল। এতে শেয়ারবাজারে কোনো কার্যক্রম চলেনি। তবে এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খুব বেশি আক্ষেপ ছিল না। কারণ হিসেবে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এমনিতে শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে দরপতন হচ্ছে। তাতে প্রায় প্রতিদিনই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। লেনদেন বন্ধ থাকায় সেই ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া ১০ দিন সরকারি ছুটি থাকায় বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে খুব বেশি ক্ষোভ দেখা যায়নি।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে একটানা ১০ দিন বন্ধ ছিল। এ কারণে বন্দর থেকে আমদানি পণ্যও খুব বেশি খালাস হয়নি। তবে বন্ধের মধ্যে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চালু ছিল। তবে অন্য সব অফিস আদালত ছুটির আমেজে থাকায় বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্য খুব বেশি খালাস করেনি। এ কারণে বন্দরে আমদানি পণ্যের কনটেইনারের সংখ্যাও বেড়ে যায়।
এদিকে ছুটি শেষে আগামীকাল ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক লেনদেন চালু হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ব্যাংকের লেনদেন। আর শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একটানা লেনদেন চলবে।