রাজধানীর পুরান ঢাকার কাঠের পুলের একটি ছাত্রী মেস থেকে সাবরিনা রহমান শাম্মী নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শাম্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। 

আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সাইফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী সাবরিনা রহমান শাম্মী কাঠের পুলের তনুগঞ্জ লেনের একটি ছাত্রী মেসে থাকতেন। ছাত্রী মেসের একটি রুমে একাই থাকতেন তিনি। পাশের রুমে অন্য ছাত্রীরা থাকতেন। আজ ভোর সাড়ে ৪টায় ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করি।

তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজধানীর মিডফোর্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা থানার নারায়ণপুর গ্রামে। তার বাবার নাম জাহিদুর রহমান লিপটন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ভোর পাঁচটায় ঘটনা শোনামাত্রই আমি সূত্রাপুর থানায় গিয়েছি। প্রাথমিক অবস্থায় জানতে পেরেছি বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আত্মহত্যার নেপথ্যের আসল ঘটনা জানার জন্য এবং কেউ যদি প্রকৃত অপরাধী হয় তার বিচার নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ মরদেহটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে খুব দ্রুতই তাকে তার গ্রামের বাড়ি যশোরে নিয়ে যাওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।

তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’

তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।

তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।

এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’

তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ