সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে জানাযা নামাজে যাওয়ার সময় বাস চাপায় শিক্ষকসহ দুজন নিহত হয়েছেন।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। 

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের চান্দাইকোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অটোভ্যানে থাকা আরও তিন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।


নিহতরা হলেন, চান্দাইকোনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রহিজুল ইসলাম (৫০) ও বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ধনকুন্ঠি গ্রামের মনছের আলীর ছেলে অটোভ্যান চালক সাহেব আলী (৫৫)।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, বিকেল ৪টার দিকে অটোভ্যানে করে একটি জানাযা নামাজে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন কয়েকজন। ভ্যানটি উপজেলার চান্দাইকোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে বগুড়াগামী শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের একটি বাস অটোভ্যানটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে অটোভ্যানে থাকা চালকসহ চার জন গুরুতর আহত হন। 

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শিক্ষক রইজুল ও অটো ভ্যানচালক সাহেব আলীর মৃত্যু হয়।

ওসি আব্দুর রউফ বলেন, “খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহতদের মধ্যে দুজন সন্ধ্যার পর মারা যান। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বগুড়া সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/রাসেল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু

জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।

কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।

সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে তিন গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১
  • চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে কেউ নিচ্ছেন চিকিৎসা, কেউ করাচ্ছেন পরীক্ষা
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু