কাতার-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিয়াদে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল লেবার মার্কেট কনফারেন্সের সাইডলাইনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলি বিন সাঈদ বিন সামিখ আল মাররির সঙ্গে বৈঠক করেন।

আসিফ নজরুল কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২ সহ বিভিন্ন বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে তাদের ভূমিকার স্বীকৃতি প্রদান করায় কাতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ড.

নজরুল কাতার সরকারের শ্রম সংস্কারকে স্বাগত জানিয়ে শ্রমিকদের উন্নতির জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যার মধ্যে রয়েছে: শ্রমিকদের জন্য ব্যাপক বিমা কাভারেজ, যার মধ্যে প্রাকৃতিক মৃত্যু এবং আইনি জটিলতার ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা অন্তর্ভুক্ত থাকবে, কাতারের ভিশন ২০৩০-এর আওতায় স্বাস্থ্যসেবা, প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দক্ষ পেশাজীবীদের নিয়োগ বৃদ্ধি ও বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর খরচ কমানো এবং আরো স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বাংলাদেশে দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে শ্রম বাজারের আধুনিকায়নের জন্য কাতার শ্রমমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। এ ছাড়াও তিনি ১৯৮৮ সালের দ্বিপাক্ষিক শ্রম চুক্তির আওতায় ২০২৫ সালের প্রথম দিকে দোহায় সপ্তম যৌথ কমিটি সভা আয়োজনের প্রস্তাব দেন।

কাতারের শ্রমমন্ত্রী কাতারের উন্নয়নে বাংলাদেশি কর্মীদের অবদানের প্রশংসা করেন এবং প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করার আশ্বাস দেন।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এই সম্মেলনের সাইড লাইনে আগামীকাল সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওমানের শ্রমমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করবেন বলে জানা যায়।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ