‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ বাবার প্রতিনিধিত্ব করবেন জাইমা
Published: 2nd, February 2025 GMT
মার্কিন কংগ্রেস আয়োজিত ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধিত্ব করবেন তার মেয়ে জাইমা রহমান।
গত ১১ জানুয়ারি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মার্কিন কংগ্রেস আয়োজিত ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ কমিটি চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানায়।
আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট যুক্তরাষ্ট্রের একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে আমাদের দলের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক সাহেব যেতে পারছেন না, তার প্রতিনিধিত্ব করবেন উনার মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। উনি লন্ডন থেকে ওয়াশিংটন যাবেন।’
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে রওনা হবেন বিএনপি মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান লন্ডন থেকে সেখানে যোগ দিবেন।
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে সংলাপের একটি প্ল্যাটফর্ম।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন সদস য ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব