শহীদ নজিরের কবর জিয়ারত বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের
Published: 2nd, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রথম শহীদ নজির আহমদের ৮২তম শাহদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার কবর জিয়ারত করেছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
রোববার সকাল ৯টায় আজিমপুর কবরস্থানে ‘সাম্প্রাদায়িকতা বিরোধী শহীদ নজির আহমদ দিবস’ হিসেবে তার সমাধিতে গিয়ে এ জিয়ারত করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মো.
এ উপলক্ষে কবর জিয়ারতের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি এবং শহীদ নজিরের রূহের মাগফিরাত কামনায় কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থায় থাকবে পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজা নিরাপদে সুন্দরভাবে উদ্যাপিত হবে। পুলিশ পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থায় থাকবে।
আজ বুধবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দুর্গাপূজা চলাকালে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের পোশাকের পাশাপাশি সাদাপোশাকে পুলিশ থাকবে। এ ছাড়া সোয়াট, ক্রাইম রেসপন্স টিম (সিআরটি) ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ সদর দপ্তর এবং অন্যান্য পুলিশ ইউনিটে মনিটরিং সেল চালু থাকবে।
উল্লেখ্য,২৮ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ৩১ হাজার ৫৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হবে।
আইজিপি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ পূজার আগে, পূজা চলাকালে এবং প্রতিমা বিসর্জন ও পূজা–পরবর্তী তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে পূজাকেন্দ্রিক পুলিশের নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদ্যাপিত হবে বলে আইজিপি আশা প্রকাশ করেন। তিনি এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির প্রধান মো. গোলাম রসুল, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন মিঞা, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, এটিইউর অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক রেজাউল করিম, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কুসুম দেওয়ান, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মাইনুল হাসান, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন মজুমদার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে, শ্রী শ্রী রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রমের আহ্বায়ক তপন কুমার বসু, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি বৈষ্ণব ও যুগ্ম আহ্বায়ক অলোক বসু, রমনা কালীমন্দিরের সদস্যসচিব মিনি কুমার দাস (অদিত), হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব দেবেন্দ্র নাথ ওঁরাও প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার ও নৌ পুলিশের পুলিশ সুপাররা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
সভায় যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে পূজা চলাকালে সিসিটিভি সক্রিয় রাখা, প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।