শহীদ আবু সাঈদ ও ওয়াসিমের ব্যবহৃত জিনিসপত্র জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালায়
Published: 2nd, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালায়’ সংরক্ষণের জন্য শহীদ মো. আবু সাঈদ মিয়া এবং শহীদ মো. ওয়াসিম আকরামের ব্যবহৃত জিনিসপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) শহীদ মো. আবু সাঈদ মিয়ার মাতা মোছা. মনোয়ারা বেগম এবং শহীদ মো. ওয়াসিম আকরামের পিতা শফিউল আলম এসব জিনিসপত্র ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। এসব জিনিসপত্র গ্রহণ করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, চারুকলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক রেজা আসাদ আল হুদা অনুপম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, প্রাধ্যক্ষ স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন প্রমুখ। এছাড়া শহীদ মো. আবু সাঈদ মিয়া ও শহীদ ওয়াসিম আকরামের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি রক্ষার্থে ঢাবিতে ‘জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে এটিকে পূর্ণাঙ্গ জাদুঘরে রূপান্তরের পরিকল্পনা আছে।”
তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র এখানে অত্যন্ত যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হবে। শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে শহীদ পরিবারকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ন সপত র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে আসতে চায় চীনা বহুজাতিক কোম্পানি টেনসেন্ট, কী ব্যবসা করে তারা
চীনা বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি টেনসেন্ট বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, বাংলাদেশে এসেছে মার্কিন জায়ান্ট স্টারলিংক। আজ (সোমবার) তাদের লাইসেন্স আবেদন অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশে বিগ টেক জায়ান্ট আসার যাত্রাটা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাত ধরেই শুরু হলো। এভাবে আসবে আরও অনেকেই।
চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট টেনসেন্ট বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে একই পোস্টে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এ প্রসঙ্গে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছেন, ‘আজ আমরা চায়নিজ জায়ান্ট টেনসেন্টের সঙ্গে অফিশিয়ালি বসেছি। তারাও বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের দ্রুততম সময়ে পলিসি সাপোর্টের আশ্বাস দিয়েছি।’
অসাইরিস গ্রুপও বাংলাদেশে আসছে বলে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে হাইপার স্কেলার ক্লাউড ও ডেটা সেন্টার হবে বাংলাদেশি ডাটা ও ক্লাউড কোম্পানি যাত্রার হাত ধরে। এখানে হচ্ছে বিগ জায়ান্টদের জন্য বিশ্বমানের সিকিউরড ক্লাউড সে-আপ, যেখানে আসতে পারে মেটা, গুগলের পেলোড। এমন অভাবনীয় সব উপহার বাংলাদেশকে দিতে চলছেন অধ্যাপক ইউনূস।
টেনসেন্টের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয় চীনের শেনজেনে অবস্থিত।
আরও পড়ুনবাংলাদেশের গেমশিল্পের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী চীনের টেনসেন্ট২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব