বন্দরে ড্রেজার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি শাওন (৩২)কে স্থানীয় জনতা  আটক করে পুলিশে সোর্পদ করার পরও মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার  অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

জনতা কর্তৃক আটককৃত মামলার আসামিকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে সচেতন মহল।  বন্দর থানা পুলিশের এ রকম কর্মকান্ডের জন্য র্তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গনমাধ্যমের কাছে এসব কথা জানিয়েছে মামলার বাদিনী সিনথিয়াসহ তার পরিবার।

জনতা কর্তৃক আটককৃত হামলাকারি শাওন বন্দর থানার নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। এর আগে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বন্দর থানার চৌরাপাড়া এলাকা থেকে ওই হামলাকারিকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে স্থানীয় জনতা।

উল্লেখ্য, বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেওলী চৌরাপাড়া এলাকার মৃত সামছুজ্জামান ওরফে বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও বাদিনী স্বামী  মেহফুজজ্জামান সাদ দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেজার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। উল্লেখিত বিবাদীগন বাদিনীর পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা।  

বিবাদীদের সহিত বাদিনী স্বামীর ঘটনার পূর্ব হইতে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল। গত সোমবার (২০ জানুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বাদিনী স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ (৩০) কাজশেষে পায়ে হেঁটে বাড়িতে ফেরার পথে রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় সময় বন্দর থানাধীন কাইতাখালি সিকদার বাড়ির মোড়ে পৌছামাত্র পূর্ব হইতে ঘটনাস্থলে ওৎপেতে থাকা বন্দর থানার উত্তর পাড়া লুয়ারপুল এলাকার মৃত ফকির সেক্রেটারী ছেলে শাহ-নেওয়াজ ওরফে শাহানাজ, নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়া ইকবাল নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার আলমগীরসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাদিনী স্বামী চলার পথ গতিরোধ করে উল্লেখিত বিবাদীগন অতর্কিতভাবে মারপিট শুরু করে। 

সন্ত্রাসী শাহনেওয়াজ  তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর বুকের ডান পাশে ঘাই মারিয়া মারাত্বক কাটা রক্তাক্ত ছিদ্রযুক্ত জখম করে। ইকবাল বিবাদী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর মাথায় ঘাই মারিলে ডান হাত দিয়ে প্রতিহত করায় ডান হাতের কনুই এর নিচে গুরুত্বর রগ কাটা রক্তাক্ত জখম করে। 

৩নং আসামী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর ডান পায়ের হাটুর উপরের অংশে ঘাই মারিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম করে। অজ্ঞাত আসামীরা  লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করিয়া আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা রক্তজমাট জখম করে। 

এ ব্যাপারে বন্দর থানার এসআই ফারুক হোসেনের যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।  
  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট নগরে প‌্যাডেলচা‌লিত রিকশা ভাড়া ন্যূনতম ২০, সর্বোচ্চ ১০০ টাকা
  • বন্দরে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক ১ 
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক