ফেনীতে সরস্বতী পূজা দেখে ফেরার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নোয়াখালীর তিন তরুণের। সোমবার রাত ৯টায় দাগনভূঞা উপজেলার বেকের বাজারের উত্তর আলীপুর এলাকায় ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তিনজন হলেন, চৌমুহনী উপজেলার আলীপুর এলাকার কৃষ্ণ গোস্বামীর ছেলে সৌরভ গোস্বামী (২৩), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণ ঘোষের ছেলে অন্তর ঘোষ (২৩) ও একই এলাকার মনোরঞ্জনের ছেলে দেবু (২২)।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের স্বজনরা জানান, বিকেলে নোয়াখালী থেকে সরস্বতী পূজা দেখতে দুটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচ বন্ধু ফেনী শহরে যান। পূজা দেখে রাতে নোয়াখালীর বাড়িতে ফেরার পথে ফেনীর দাগনভূঞার বেকের বাজার এলাকায় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারায়। সড়কের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হন। গুরুতর আহত হন অপর আরোহী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে। নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা চলছে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন সড়ক ম ত য

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ