দিনাজপুরে শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি পঞ্চগড় থেকে গ্রেপ্তার
Published: 4th, February 2025 GMT
দিনাজপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রাহুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার দিবাগত রাতে পঞ্চগড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আলমগীর হোসেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বাছারগ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।
পিবিআই দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনটি মামলার তদন্ত করছে পিবিআই। এরই ধারাবাহিকতায় আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুর জিলা স্কুলের সামনে শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রাহুলসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী একটি মিছিল বের করে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের তৎকালীন হুইপ ইকবালুর রহিমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উসকানিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ৩০০-৪০০ জন হামলা চালায়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র, ক্ষতিকারক গ্যাস এবং ধারালো দেশি-বিদেশি অস্ত্র ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ও গুলি ছোড়ে। এতে রবিউল ইসলাম রাহুল গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যান।
শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় রবিউল ইসলাম রাহুলের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। এছাড়াও ওইদিনের সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা তদন্ত করছে পিবিআই। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব