চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় পাচারের সময় ১২২ বস্তা জৈব সারসহ একটি পাওয়ার টিলার আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে জৈব সার উথলীতে নেওয়ার পথে জীবননগর পৌর এলাকার লক্ষ্মীপুর থেকে পাওয়ার টিলারটি আটক করা হয়।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য এসব সার ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে মজুত ছিল। সেখান থেকে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচারের সময় আটকের ঘটনা ঘটে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মামুন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, জৈব সারভর্তি পাওয়ার টিলারটি আটকের পর থানা চত্বরে রাখা হয়েছে। পাওয়ার টিলারের চালককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল-আমীন পাওয়ার টিলারভর্তি জৈব সার আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটক সার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে: নেতানিয়াহু

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার আশঙ্কার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানি শীর্ষ নেতার হত্যায় ‘সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে’।

তিনি বলেন, ‘ইরানি নেতার হত্যার সম্ভাব্য পরিকল্পনা ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান সংঘাতকে ‘আরও বাড়িয়ে তুলবে না, বরং সংঘাতের অবসান ঘটাবে’। 

এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, খামেনিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করার চিন্তা আছে কিনা। প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ইরান ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চায় এবং ইসরায়েলে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় নিয়ে এসেছে। 

তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আগ্রাসন ঠেকাচ্ছে। এটা ঠেকাতে হলে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। আমরা যা প্রয়োজন, তাই করছি। 

ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েল বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজয় অর্জনের পথে। এর আগে, তেহরানের আকাশ ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন’ করার দাবি করেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে, ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস'’করে দেওয়ারও দাবি করেন তারা।

সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দু'টি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।

ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদেরকে ইরান হামলার লক্ষ্যবস্তুে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার সাহায্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সফল হব। বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা (যুদ্ধ) চালিয়ে যাব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ