বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটিতে সিদ্ধিরগঞ্জের ৩৩
Published: 5th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১৯২ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে সিদ্ধিরগঞ্জের ৩৩ জন স্থান পেয়েছে।
তারা হলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মেহরাব হোসেন প্রভাত, সদস্য সচিব জাবেদ আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব ইমন আহমেদ ও আব্দুল মমিন সরকার তন্ময়। সংগঠক হিসেবে রয়েছে, মোঃ শহীদুল ইসলাম ইরফান, নাজমুল ইসলাম, সিয়াম রেজা, তানজিম আহম্মেদ সানজান, মোঃ মোজহিদুল ইসলাম, মাসনুন হাসান রিভু, ওমর ফারুখ সানি, শরীফ মাহমুদ, আদনান সামি, গোলাম রাব্বি জোবায়ের, মোহাম্মদ রায়হান, মোহাম্মদ তামিম, জুবায়ের সিফাত, তৌফিকুর তুহিন, মাহাদী আল মাহী, কাইয়ুম ইসলাম, সিফাত খান, আব্দুল হামিদ শ্যামল, সারফরাজ মামুন, আবদুল্লাহ আল মাহফুজ, দীন ইসলাম, সিয়াম আহমেদ, আব্দুর রহমান রাতুল, মোহাম্মদ কাইয়ুম, আব্দুল্লাহ, তাসনিম রাতুল, আশরাফুল ইসলাম, ফাতিন ইরফান উৎসব, ফাহিম হাবিব উদয়।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নিরব রায়হানকে আহ্বায়ক এবং মোহাম্মদ জাবেদ আলমকে সদস্য সচিব করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার ১৯২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ৬ মাসের জন্য এই আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহবায়ক মেহরাব হোসেন প্রভাত বলেন, আমাকে আহবায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেহরাব সিফাত ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এবং আমার সকল সহযোদ্ধাদের জানাই অভিনন্দন ও শুভ কামনা।
আহবায়ক কমিটির পদগুলোর সাথে জড়িয়ে আছে অনেক দায়িত্ব। এ পদ গুলোর সাথে জড়িয়ে আছে হাজারো ভাই-বোনের রক্ত। জালিমদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়ানোর দায়িত্ব ।
তিনি আরও বলেন, সংগঠনকে আরো সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী করতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।