প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জে জনসমাবেশ করছে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এই জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। জনসভা সফল এবং ব্যাপক জনমাগম ঘটাতে গত কয়েকদিন জেলার ৫টি উপজেলা এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মী সভা করেছে জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও মাইকিং, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন লাগিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে।  


এদিকে এই জনসভার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামী তাদের শক্তি ও সক্ষমতা জানান দিবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সচেতন মহল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই জনসভায় নারায়ণগঞ্জবাসীকে কি ম্যাসেজ দিবে জামায়াতে ইসলামী তা নিয়েও স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা। কারণ নারায়ণগঞ্জে জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকান্ড চলমান থাকলেও কখনো তারা প্রকাশ্যে জনসভা করতে পারেনি। গত ১৬ বছরের আওয়ামীলীগের শসনামলে মামলা-হামলায় জর্জরিত ছিল নারায়ণগঞ্জে জামায়াত ইসলাম ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা। রীতিমত দলীয় কোন কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় পর্যন্ত দাঁড়াতে পারেনি। এরমধ্যে বিদায়ের শেষ দিকে আওয়ামীলীগ সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে। এতে আরও বিপাকে পড়ে যায় দলটির নেতাকর্মীরা। তবে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জে ঘুরে দাঁড়ায় জামায়েতে ইসলামী। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নারায়ণগঞ্জে হতাহতদের বাড়ি-ঘরে ছুটে আসে কেন্দ্রীয় জামায়াতের আমীর সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে তারা হতাহতদের আর্থিক সহায়তা ও আগামীতে পাশে থাকার আশ^াস দেন। তাদের এই কর্মকান্ডকে পজেটিভভাবে নিয়েছে জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের স্বজন ও সাধারণ মানুষ। তাই এমন সময়ে জনসভা ঘিরে উৎসবমুখোর জামায়েতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।


অপরদিকে শুক্রবারের জনসভা সফল ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর ড.

শফিকুর রহমানের আগমন উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা ও মহানগর নারায়ণগঞ্জ জামায়েতে ইসলাম।


সংবাদ সম্মেলনে জনসভা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ আবদুল জব্বার লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ সময়কাল ধরে ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে আমরা সকলেই আওয়ামী লীগের জুলুমতন্ত্রদ্বারা নিষ্পেষিত হয়েছিলাম, যার কারণে এদেশের সিংহভাগ মানুষ তাদের মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। গুম-খুন, জেল-জুলুম, নির্যাতন, দুর্নীতি, অনিয়ম, কালোবাজারি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, মাদক বাণিজ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে দেশকে এক অনিশ্চিত পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জনগনের শেষ ভরসাস্থল বিচারালয়কেও আওয়ামী লীগ তাদের দলীয়করণের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে জনগণের ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকারকে কেড়ে নিয়েছিল। মোট কথা আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগিরা দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। এহেন চরম দূর্বিসহ পরিস্থিতিতে নির্যাতিত মজলুম জনগনের রোনাজারিতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল। আল্লাহ তা'য়ালা মজলুমের ফরিয়াদ কবুল করেছেন। তাঁর মেহেরবানীতে ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ৫ আগস্টের দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। 


তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের জনপদ হিসেবে অতীতে চিহ্নিত হয়েছিল। এ কারণে এ শহর সমৃদ্ধি-স্বস্তির নারায়ণগঞ্জের পরিবর্তে নৈরাজ্যের নারায়ণগঞ্জে পরিণত হয়েছিল। আমরা জুলাই-আগস্ট এর ছাত্র-জনতার অনন্য ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন বিজয়কে বুকে লালন করে সবাই মিলে ধ্বংস-ভাঙ্গা রাষ্ট্রকে মেরামতের মাধ্যমে নতুন নিরাপদময় একটি বাংলাদেশ এবং কাঙ্ক্ষিত ও প্রত্যাশিত বসবাস যোগ্য নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলতে চাই। যেখানে থাকবে না কোন বৈষম্য। কেউ আইনের বাইরে থাকবেনা। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলগণ হবেন জনগনের সেবক ও বন্ধু। 


লিখিত বক্তব্যে জামায়েতের এই নেতা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেকগুলো সমস্যার পাশাপাশি অঢেল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করে এবং সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা নারায়ণগঞ্জকে একটি আদর্শ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নারায়ণগঞ্জ হিসেবে রূপান্তরিত করতে পারব ইনশাআল্লাহ। যে নারায়ণগঞ্জে থাকবেনা সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া, কিশোরগ্যাঙ্গ, মাদক সেবন ও বিপণন, মাস্তানী ও দখলদারিত্ব। থাকবেনা বেকারত্বের আহাজারি। যে নারায়ণগঞ্জ হবে বসবাসযোগ্য, ভয়হীন, বৈষম্যমুক্ত একটি আদর্শ নগরী। সেই প্রত্যাশাকে নারায়ণগঞ্জবাসির উদ্দেশ্যে তুলে ধরতে আগামীকাল ৭ই ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী ও জেলা শাখার উদ্যোগে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর, বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, মজলুম জননেতা ডাঃ শফিকুর রহমান। তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। এছাড়াও জনসভায় কেন্দ্রীয় এবং জেলা ও মহানগরীর নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। আশাকরি উক্ত জনসভা জন সমুদ্রে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। এই জনসভা হবে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জুলমবাজ, দখলবাজদের বিরুদ্ধে হুসিয়ারী উচ্চারণ, এই জনসভা হবে নারায়ণগঞ্জসহ দেশবাসীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের প্রতীক। 


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রেীয় জামায়াতের নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা দক্ষিন অঞ্চলের পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রেীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুউদ্দিন আহমদ,কেন্দ্রেীয় মজলিসে সূরা সদস্য জেলা আমীর মমিনুল হক সরকার, মহানগরী নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানয়োর হোসাইন, কেন্দ্রেীয় মজলিসে সূরা সদস্য জাকির হোসাইন, কেন্দ্রেীয় মজলিসে সূরা সদস্য প্রফেসর ড.ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া সহ নারায়ণগঞ্জ মহানগরী ও জেলা কর্ম পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র জন ত ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ র ন র য়ণগঞ জ ত হয় ছ হয় ছ ল আল ল হ সদস য আওয় ম আগস ট ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে

বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।

নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।

নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।

তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা। 

এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।

তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা। 

এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। 

তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।

চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না। 

এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। 

এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই। 

তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।

তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো? 

আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।

এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

 এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
  • ফতুল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • সোনারগাঁয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চিঠি
  • নারায়ণগঞ্জে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩
  • সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা রিয়াদের দুই মেয়ে গুরুতর আহত : দোয়া প্রার্থনা 
  • আড়াইহাজারের সেপটি ট্যাংকির ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
  • ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে