বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক যদি রিয়াল মাদ্রিদ-আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচটি দেখে থাকেন, তাহলে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল দেখে খুশিই হওয়ার কথা। না, রিয়ালের ফরাসি তারকার গোলের সঙ্গে এই জার্মান কোচের বিশেষ কোনো সম্পর্ক নেই। সম্পর্কটা এখানে রিয়ালের প্রতি সমর্থন বা আতলেতিকোর প্রতি বিরোধিতারও নয়।

গত রাতে লা লিগার ডার্বি ম্যাচে মাদ্রিদের দুই ক্লাব যখন মুখোমুখি, তখন বার্সেলোনার জন্য চাওয়া ছিল পয়েন্ট ভাগাভাগি। ৩৫ মিনিটে হুলিয়ান আলভারেজের গোলে আতলেতিকো এগিয়ে যাওয়ার পর ৫০ মিনিটে এমবাপ্পের ওই গোলেই ম্যাচে সমতা আনে রিয়াল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের সমাপ্তির বাঁশিও বেজেছে ওই ১-১ সমতায়ই। পয়েন্ট ভাগাভাগির এমন স্কোরলাইনে রিয়াল-আতলেতিকো পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে না পারলেও বার্সেলোনার শতভাগ খুশিই হওয়ার কথা। মাদ্রিদ ডার্বিতে সবচেয়ে বেশি লাভ যে বার্সারই হয়েছে।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ম্যাচটিতে নামার সময় রিয়ালের পয়েন্ট ছিল ২২ ম্যাচে ৪৯, সমান ম্যাচে আতলেতিকোর ৪৮। লিগ শিরোপা দৌড়ে এগিয়ে যেতে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। জিতলেই অপর দল থেকে একাধিক পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। কিন্তু সেই সুযোগটা রিয়াল, আতলেতিকো কোনো দলই কাজে লাগাতে পারল না।

লা লিগা পয়েন্ট তালিকায় বার্সেলোনার অবস্থান তিনে, ২২ ম্যাচে পয়েন্ট ৪৫। মাদ্রিদ ডার্বিতে যে কোনো এক দল জিতলেই স্পষ্টতই বার্সার সম্ভাবনা কমে যেত।

আতলেতিকো জিতলে দলটি বার্সার চেয়ে এগিয়ে থাকত ৬ পয়েন্ট, রিয়াল জিতলে ৭ পয়েন্টে। তবে দুই দলই পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় পয়েন্ট এখন বার্সেলোনার নাগালেই আছে। আজ রাতে কাতালান ক্লাবটি যদি নিজেদের ২৩তম ম্যাচে সেভিয়াকে হারাতে পারে, তাহলে আতলেতিকোর সঙ্গে ব্যবধান থাকবে মাত্র ১ পয়েন্টের, রিয়ালের সঙ্গে ২।

লিগ শিরোপার লড়াই জমিয়ে তোলার বাইরে গতকাল রাতের মাদ্রিদ ডার্বি একটি বিতর্কও দেখেছে। ম্যাচের প্রথমার্ধে আতলেতিকো মাদ্রিদ যে গোলে এগিয়ে যায়, সেটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। আর পেনাল্টিটা এসেছে অঁরেলিয়ে চুয়েমেনির ফাউল থেকে। রিয়ালের ফরাসি ডিফেন্ডার বক্সে আতলেতিকোর স্যামুয়েল লিনোকে ফাউল করেন। রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। তবে চুয়েমেনি যখন লিনোকে পায়ে আঘাত করেন, ততক্ষণে বল সরে গেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় রিয়াল ডাগআউট থেকে। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি, ‘আমি রেফারি নিয়ে কথা বলতে চাই না। পেনাল্টি দিয়েছিল ভিএআর। রেফারি খুব কাছ থেকেই ঘটনা দেখেছিল। আমি এ রকম আরেকটা পেনাল্টি দেখলাম অ্যাথলেটিক-জিরোনা ম্যাচে। (আসলে) ফুটবলের মানুষজন এ সব বুঝে না। আমি এখন বিতর্কের মধ্যে যেতে চাই না, যেটা এর মধ্যেই অনেক বড় হয়ে গেছে।’
রিয়ালের পরবর্তী মনোযোগ চ্যাম্পিয়নস লিগ ঘিরে। মঙ্গলবার নকআউট প্লে-অফের প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে রিয়াল।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটারজুটে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমশার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট দেখা দেয়। 

হাইওয়ে পুলিশ  জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফেনী থেকে রেকার এনে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ। 

সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে। 

ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বুড়িচংয়ের নিমশার বাজারে যানজটে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৫ মিনিট গাড়ি চললে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এভাবে ১০টা ৪০ মিনিটে চান্দিনায় পৌঁছেছি। এ সময়ে ঢাকার কাছাকাছি থাকার কথা ছিল। 

নিমশার বাজারে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে যানজট অথচ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দেখছি না। 

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কের নূরীতলা এলাকায় উল্টে কাভার্ড ভ্যানটি আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। পরে ঢাকামুখী লেনের বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে ঢোকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী থেকে ক্রেন এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। 

হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণেই যানজট দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ