ফাল্গুনের শুরুতে শীতের আমেজ কিছুটা থাকলেও গরম অনুভূত হয়। ফাল্গুনে হলুদ, হলদেটে, বাসন্তী বা গেরুয়া পোশাকের প্রাধান্য দেখা যায়। এই মাসেই ভালোবাসা দিবস। সেদিন লাল রং বেছে নেন অনেকে। ক্রেতাদের চাহিদা বিবেচনা করে ফ্যাশন হাউজগুলো তাদের সংগ্রহে এসব পোশাক রাখেন। ফাগুন ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে এবার ফটোশুটে অংশ নিলেন দেশের শীর্ষ মডেলরা।
সম্প্রতি রাজধানীর পস লাউঞ্জে আজওয়া ফ্যাশন হাউজের ফটোশুট করা হয়। গৌতম সাহার কোরিওগ্রাফিতে ফটোশুটে অংশ নেন তৃণ, লিন্ডা ও জেবা টাকিয়া। ফটোগ্রাফি করেন বুলবুল আহমেদ।
ফটোশুট নিয়ে গৌতম সাহা বলেন, “বসন্ত ও ভ্যালেন্টাইনসকে সামনে রেখে আমরা ফটোশুট করেছি। আজওয়ার ড্রেসগুলো ইন্ডিয়ার কালেকশন। এখানে ব্রাইডাল, শাড়ি, লেহেঙ্গা পাওয়া যাবে ১২ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে। আজওয়ার চারটি শো-রুম রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
‘মিস ইউনিভার্স’ বিজয়ী ভিক্টোরিয়া
এফাকে সমুদ্রের সৌন্দর্যে সাজালো যে
জনপ্রিয় নায়িকাদের নিয়ে আরো কিছু শুট করার তথ্য জানিয়ে গৌতম সাহা বলেন, “ফাগুন ও ভ্যালেন্টাইনের বেশ কয়েকটি শুট করেছি। আরো কিছু শুট বাকি আছে। সবগুলো শুট দেশের শীর্ষস্থানীয় মডেল ও জনপ্রিয় নায়িকাদের নিয়ে করছি। আশা করছি, সবগুলো শুট দৃষ্টি নন্দন হবে।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়