রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল এডমিশন ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বছর প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় তিন শিফটে মোট ৮ হাজার ২ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম শিফট থেকে ২ হাজার ৬৯২ জন, দ্বিতীয় শিফট থেকে ২ হাজার ৬৬৮ জন এবং তৃতীয় শিফট থেকে ২ হাজার ৬৪২ জন নির্বাচিত হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রুয়েটে অনুষ্ঠিত তিন শিফটের পরীক্ষায় মোট ১৯ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।  

পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদগুলোর অধীনে মোট ১৪টি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সংরক্ষিতসহ মোট আসন ১ হাজার ২৩৫টি। সংরক্ষিত আসনে রয়েছে- বান্দরবান জেলার অধিবাসীদের জন্য একটি, পার্বত্য জেলা ও অন্যান্য এলাকার উপজাতি/ক্ষুদ্র জাতিসত্বা/নৃ-গোষ্ঠীর জন্য চারটি।

চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের তালিকা আগামী ৮ মার্চ প্রকাশ করা হবে।   উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা দেখার জন্য লিংকে ক্লিক করার জন্য বলা হয়েছে।

ঢাকা/মাহাফুজ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র থ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ