শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৬৪ জেলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান শীর্ষক প্রযোজনাকেন্দ্রিক নাট্য কর্মশালা ও মুনীর চৌধুরী নাট্যোৎসব বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ফরিদপুরের কবি জসীম উদ্‌দীন হলে সোমবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত নাটক ‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টাল’। নাটকটি লিখেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ইরা আহমেদ। নির্দেশনা দিয়েছেন ইরা আহমেদ ও বিশ্বনাথ ভৌমিক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা। জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এই মঞ্চনাটকে জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা সাইফুল হাসান মিলনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাকাহীদ হোসেন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াসিন কবির। 

জানা গেছে, নাট্য প্রযোজনার জন্য ফরিদপুর জেলার নিয়মিত নাট্যদলসহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নাট্যচর্চায় যুক্ত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্য থেকে অডিশনের মাধ্যমে বাছাইকৃত ১৪ জনকে নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৫ দিনের এক কর্মশালা  হয়েছে। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়েই সোমবার ‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টাল’ মঞ্চস্থ হয়। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন সহকারী অধ্যাপক ইরা আহমেদ। সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বিশ্বনাথ ভৌমিক। 

জেলা শিল্পকলা একাডেমি ফরিদপুরের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ কর্মশালায় স্থানীয় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ও সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীসহ বৈশাখী নাট্যগোষ্ঠী, বহুরূপী সাংস্কৃতিক সংস্থা, বিনোদন নাট্যদল, উড়ানী নাট্যদল, সঙ থিয়েটার ও বাংলা থিয়েটারের নাট্যকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 
  • রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ