Prothomalo:
2025-11-03@13:46:19 GMT

রবির পর্ষদ সভা আগামী সোমবার

Published: 12th, February 2025 GMT

১৭ ফেব্রুয়ারি টেলিকম খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরের হিসাব চূড়ান্ত করার পাশাপাশি লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছর রেকর্ড আয় করেছে টেলিকম খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা। সেবার কোম্পানিটি ৯ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা আয় করেছে, রবির ইতিহাসে এক বছরে যা সর্বোচ্চ। রেকর্ড আয় করায় গত বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়।

রবি আজিয়াটা দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি। ২০২০ সালে কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তালিকাভুক্তির পর ২০২৩ সালে কোম্পানিটি সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। রবি জানিয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কোম্পানিটির আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ।

সেবার কোম্পানিটি ৩২১ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছর রবিতে নতুন ৪৩ লাখ গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন। বছর শেষে কোম্পানিটির মোট গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮৭ লাখে; এই সংখ্যা দেশের মোট মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের ৩১ শতাংশ। রবির মোট গ্রাহকের ৬১ শতাংশই ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের সেবা ব্যবহারকারী গ্রাহক।

গত এক বছরে রবি আজিয়াটার শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩৫ টাকা ৯০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ২০ টাকা ৩০ পয়সা। তালিকাভুক্ত হওয়ার কোম্পানিটি ২০২১ সালে ৫ শতাংশ ও ২০২২ সালে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আজ য় ট বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে