বিমা খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স ২০২৪ সালের ডিসেম্বর ৩১ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।

লভ্যাংশ দিলেও গত বছর গ্রিন ডেলটার মুনাফা কমেছে। ২০২৪ সালে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৫ দশমিক ৩৯ টাকা; ২০২৩ সালে যা ছিল ৬ দশমিক ১১ টাকা। একইভাবে গত বছর কোম্পানিটির নিট অ্যাসেট ভ্যালু পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য কমে হয়েছে ৭০ দশমিক ৪০ টাকা; আগের বছর যা ছিল ৭৩ দশমিক ১৮ টাকা। এ ছাড়া কোম্পানিটির নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার (এনওসিএফপিএস) বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ কমেছে, ২০২৪ সালে যা ছিল ১ দশমিক ১৯ টাকা; ২০২৩ সালে তা ছিল ৫ দশমিক ৯৮ টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় এসব তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বছরের তুলনায় প্রিমিয়াম আয় কমে যাওয়ায় ইপিএস এনওসিএফপিএস কমেছে। এ ছাড়া শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মূল্য কমে যাওয়ায় শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য কমেছে।

গ্রিন ডেলটার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৭ মার্চ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। সভাটি বেলা ১১টায় শুরু হবে। লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ মার্চ।

গত এক বছরে গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭২ টাকা ৮০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪১ টাকা। এ ছাড়া কোম্পানিটি ২০২৩ ও ২০২২ সালে ২৫ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ৩০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ ছাড়া ২০২০ সালে কোম্পানিটি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দশম ক শ নগদ

এছাড়াও পড়ুন:

রূপালী লাইফের আর্থিক হিসাবে ৬৯ কোটি টাকার গরমিল

পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের আর্থিক হিসাবে ৬৯ কোটি টাকার বেশি গরমিল পাওয়া গেছে। কোম্পানিটির সর্বশেষ ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক বুক বা লেজারে নগদ অর্থ দেখিয়েছে ৯১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। তবে ব্যাংক স্টেটমেন্টে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির হিসাবের সঙ্গে ব্যাংক স্টেটমেন্টের পার্থক্য পাওয়া গেছে ৪৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

এদিকে, বিমা কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে এজেন্টের কাছে পাওনা হিসেবে ২৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা দেখিয়ে আসছে, যা আদায়যোগ্য বলে মনে হয়নি। এরপরেও ওই ফান্ডের সম্ভাব্য লোকসানের বিপরীতে আইএফআরএস-৯ অনুযায়ী কোম্পানিটি সঞ্চিতি গঠন করেনি।

এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন ব্যাংকে দেখানো ৬৫ লাখ টাকার হিসাবগুলো দীর্ঘদিন ধরে লেনদেন না করায় নিস্ক্রিয় (ডরমেন্ট) হয়ে গেছে। তবে যাচাই-বাছাই করে ওইসব হিসাবে ৩০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। অর্থাৎ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৩৫ লাখ টাকার বেশি সম্পদ দেখিয়েছে।

রূপালী লাইফ থেকে কর্মীদেরকে অগ্রিম বেতন ও মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও মোবাইলের জন্য অগ্রিম ২১ লাখ টাকা প্রদান করেছে। কিন্তু এই অগ্রীম প্রদানকৃত হিসাব দীর্ঘদিন ধরে একই অবস্থায় রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন সমন্বয় করা হয়নি। তারপরেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই অগ্রিম আদায় বা সমন্বয় নিয়ে সম্ভাব্য লোকসানের বিপরীতে কোম্পানি কোন সঞ্চিতি গঠন করেনি।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কালচে হয়ে যাচ্ছে মোগল আমলের লালকেল্লা
  • রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা নাভালনির শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল: স্ত্রীর দাবি
  • তিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৫ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ
  • জিল হোসেন মারা গেছেন, আদালতে তাঁর লড়াই শেষ হবে কবে
  • রূপালী লাইফের আর্থিক হিসাবে ৬৯ কোটি টাকার গরমিল
  • গবাদিপশু থেকে মানুষের শরীরে ‘তড়কা’ রোগ, প্রতিরোধে যা করবেন
  • সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ তিন দাবিতে অনশনে ৫ শিক্ষার্থী
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • কীভাবে নেট রান রেট হিসাব করা হয়, সুপার ফোর উঠতে বাংলাদেশের হিসাব কী
  • সোনালী ও রূপালী মুনাফায়, অগ্রণী ও জনতা লোকসানে