সারাদেশে প্রায় ৭০০-৮০০টি ‘আয়নাঘর’ নামক নির্যাতনকেন্দ্র রয়েছে এবং সরকার সবগুলো খুঁজে বের করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বলা হয়েছিল যে আয়নাঘর পরিদর্শন হচ্ছে না। কিন্তু আমরা আজ ঢাকার তিনটা আয়নাঘর পরিদর্শন করলাম। বাংলাদেশে যত আয়নাঘর আছে সবগুলো খুঁজে বের করা হবে। গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আমরা জেনেছি এটার সংখ্যা ৭০০-৮০০টি। এগুলো শুধু ঢাকায় নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আয়নাঘর ছিল।

শফিকুল আলম বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন যে, গুম-খুনের পেছনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিল।     

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড এবং গুমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা যে জায়গাগুলোতে গেছি, সবগুলোর ছবি দিয়েছি। খুবই ছোট ছোট জায়গা। এগুলো খুঁজে বের করা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের সঙ্গে বিটিভি ও পিআইবির ক্যামেরা ছিল। দেশের বাইরের নেত্র নিউজ ও আল-জাজিরা ছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সবগ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ