বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এই সরকারের দায়িত্ব একটি নির্বাচন করা। তারা নির্বাচনের ব্যাপারেও নাই, সরকার পরিচালনার দিকেও খেয়াল নেই- সকাল বিকাল শুধু সংস্কার আর সংস্কার বলছেন। দেশে কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, তারা রাজনীতিবিদদের সম্মান করতে জানেন না; তারা শুধু বুদ্ধি দিবেন তাদের জন্য কয়েকটা কমিশন গঠন করার জন্য।

বুধবার বিকালে লালমনিরহাট শহরের রেলওয়ে মুক্তমঞ্চ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা বলছে, মুক্তিযুদ্ধ নয়, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে ১৯৭১ সালে জনযুদ্ধ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বলতে লজ্জা পায়- এটা কিসের আলামত? তারা ৭ নভেম্বর জানে না, তারা জানে ৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারলে তাঁর দায় এ দেশের রাজনীতিবিদদের।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রশাসনে ও সরকারে থেকে উপদেষ্টামন্ডলীদের নিয়ে রাতে গোপন বৈঠক করবেন। আর নতুন বাচ্চা প্রসব করবেন। রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে। পতাকা খুলে বাড়িতে চলে আসেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এই কাজ করলে তাদেরকে আর নিরপেক্ষ বলা যাবে না। এই সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে বলে তিনি আরও জানান।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনশীল ও নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে অনুষ্ঠিত এই জনসমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও আব্দুল খালেকসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের ছুটিতে ৯৯৯-এ মারামারির অভিযোগ ছিল ৪ হাজার ১০২টি

১৫ হাজার ৬১৯ জন। অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন জরুরি সহায়তা দেয় পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস। তবে এ সময় সবচেয়ে বেশি ছিল মারামারির অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে এই সংখ্যা ৪ হাজার ১০২টি। 

রোববার পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, ঈদুল আজহার ছুটির মধ্যে ৫ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৯৯৯-এ আসা কলের ভিত্তিতে জরুরি পুলিশি সহায়তা দেয় ১৩ হাজার ৮৩১ জনকে। একই সময়ে ৯৯৩ জনকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও ৭৯৫ জনকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা দেওয়া হয়।

এবারের কোরবানি ঈদে দেশজুড়ে যত্রতত্র পশুর হাট, রাস্তা ও নৌপথে পশু পরিবহন, পশু জবাই ও জনসমাগমের কারণে নানা বিশৃঙ্খলার শঙ্কা ছিল। তবে ৯৯৯-এ কলের ভিত্তিতে কার্যকর মনিটরিং ও তৎপরতায় এসব সংকট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। 

ঈদে যেসব অপরাধ বা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এসেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল পশুর হাট ও রাস্তায় চাঁদাবাজি, জোর করে পশু অন্য হাটে নিয়ে যাওয়া, অজ্ঞান/মলম পার্টির তৎপরতা এবং অতিমাত্রার শব্দদূষণ। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা পান ১ হাজার ২৭১ জন।  
তাছাড়া কাউকে আটকে রাখা-সংক্রান্ত অভিযোগে সাড়া দেওয়া হয় ১ হাজার ২১৪ জনকে। পাশাপাশি জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পান ১ হাজার ৬২ জন ও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে সহায়তা দেওয়া হয় ৯৯২ জনকে।

৯৯৯ সেবা-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঈদে মানুষের চলাচল, পশু কেনাবেচা, বড় আকারের জনসমাগম—সবকিছু মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে যাচাই করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিশেষ করে ঈদের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি চালানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদের ছুটিতে ৯৯৯-এ মারামারির অভিযোগ ছিল ৪ হাজার ১০২টি