ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানের সঙ্গে নৃত্য, প্রধান শিক্ষককে শোকজ
Published: 13th, February 2025 GMT
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়, জয় বাঙালির জয়’ গানের সঙ্গে এক শিক্ষার্থীর নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ‘অসংগতিপূর্ণ গানে নৃত্য পরিবেশন করায়’ দেওয়ালী বথুনদিয়া পাঁচুরিয়া (ডিবিপি) উচ্চবিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রিজাউল ইসলামকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
আজ বৃহস্পতিবার দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে, দেওয়ালী বথুনদিয়া পাঁচুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্র–জনতার বিপ্লবের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ গানে নৃত্য পরিবেশন করা হয়, যা ছাত্র–জনতার বিপ্লবকে হতাশ করেছে। এই কার্যকলাপে কেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানাতে তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান মঞ্চে সাউন্ড বক্সে বাজছে গান ‘দে তালি, বাঙালি, আজ নতুন করে স্বপ্ন দেখার দিন। জয় বাংলা বাংলার জয়, জয় বাঙালির জয়’। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এ গানের সঙ্গে মঞ্চে নৃত্য করছে এক ছাত্রী।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়সার প্রথম আলোকে বলেন, ‘১১ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টা থেকে সোয়া দুইটা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত ছিলাম। সোয়া দুইটার দিকে জরুরি কাজ থাকায় চলে আসার পর বেলা তিনটার দিকে সাউন্ড বক্সে ওই গানের সঙ্গে এক ছাত্রী নৃত্য পরিবেশন করে বলে জানতে পারি। যার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টার দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে এক ছাত্রী তার নিজের মুঠোফোনে ওই গান বাজিয়ে নৃত্য শুরু করে। এ সময় বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন। তিনি বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ছিলেন। গান বাজার সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চে থাকা ওই শিক্ষক দ্রুত গান বন্ধ করে দেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক অন ষ ঠ ন ল র জয়
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে বিবাহবিচ্ছেদের চার দিনের মাথায় লাউখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ে স্বামীর মৃত্যুর দুই বছর পর সন্তানদের রেখে গোপনে বিয়ে করে ঘর ছেড়েছিলেন এক নারী। দ্বিতীয় বিয়ের প্রায় এক মাস পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এ ঘটনার চার দিনের মাথায় বাড়ির পাশের লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ধামোর মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম তানজিনা আক্তার (৩৫)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানজিনার দ্বিতীয় স্বামী মিনাল হোসেনের বাবা দিলু হোসেনকে (৫৫) হেফাজতে নিয়েছে আটোয়ারী থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তানজিনা আক্তারের প্রথম স্বামী মজিবর রহমান প্রায় দুই বছর আগে মারা যান। তাঁদের দুটি ছেলে আছে। এর মধ্যে প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় যুবক মিনাল হোসেনকে (২৭) গোপনে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। এর পর থেকেই মিনালকে ছেড়ে দিতে তানজিনার ওপর চাপ দিতে থাকে মিনালের পরিবার। গত ৩০ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই মিনালকে এলাকায় দেখা যায়নি।
পুলিশ জানায়, আজ সকালে ধামোর-মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেতে কয়েকজন লাউ তুলতে গিয়ে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। এ সময় স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশটি তানজিনার বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বারঘাটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও আটোয়ারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।