দাউদকান্দিতে এসি ল্যান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
Published: 14th, February 2025 GMT
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার, ভূমি (এসি ল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ান ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার সময় অতর্কিত হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী জানান, এতে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনআদালত পরিচালনার সময় দাউদকান্দিতে এসি ল্যান্ডের ওপর হামলা, পাঁচ পুলিশসহ ১০ জন আহত১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এসি ল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ান ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে মো.
ওই হামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দলে থাকা ৫ পুলিশসহ ১০ জন আহত হন। হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন হাসানের স্ত্রী শেলীনা আক্তার ও শেলীনার চাচাতো বোন সাথী আক্তার। মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ উদক ন দ
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন।
সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।