বিদায়ী সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই ও সিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ২১ হাজার ১০৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২.

৩০ পয়েন্ট বা ০.৪৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৬.২১ পয়েন্ট বা ০.৩২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯১৯ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭.৯৩ পয়েন্ট বা ০.৬৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১.২৫ পয়েন্ট বা ০.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭ পয়েন্টে।

আরো পড়ুন:

‘পুঁজিবাজার আবেগ নয়, মৌলভিত্তি দেখে বিনিয়োগ করতে হয়’

তিন ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিল ডিএসই

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫ হাজার ৮০৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১০৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৫৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৮৩টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৯টির। লেনদেন হয়নি ১৫টি কোম্পানির শেয়ার।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭.২৪ পয়েন্ট বা ০.১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫২৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.১৩ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.০১ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮০১ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৪৩ শতাংশ বেড়ে ৯৪২ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.৬৫ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইতে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২ হাজার ৪৬৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৭ হাজার ১৬৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ২৯৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৭ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৪৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট ব জ র ম লধন ম লধন ব ড় ছ স এসইত স এসই ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস সূচকের পতন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে টানা ৩ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের পতন ঘটেছে। এর আগে টানা ৮ কার্যদিবস সূচকের উত্থান হয়েছিল।

এ দিনে ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৩.৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১.০৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৭.৬০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আরো পড়ুন:

বিএসইসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে: ডিবিএ সভাপতি

ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের দুই পরিচালক কিনছেন পৌনে ১৮ লাখ শেয়ার

ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮২টি কোম্পানির, কমেছে ২৫০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪টির।

এ দিন ডিএসইতে মোট ৭১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮০৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৪.১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ১০২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৫.৪৬ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৮৫৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৩.২৭ পয়েন্ট কমে ৯৩৮ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৯৫.৬৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ২৪৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬৬টি কোম্পানির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬টির।

সিএসইতে ২৯ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সূচকের বড় উত্থান, হাজার কোটি ছাড়াল লেনদেন
  • এসএমই ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন পদে নিয়োগ, বেতন ৩১,৬২০ থেকে ৫৪,২৫০ টাকা
  • এবি ব্যাংকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির সমাপনী ও সনদ বিতরণ
  • পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস সূচকের পতন