কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চন্ডিপাশা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষ হয়। 

পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন জানান, বিকেলে চন্ডিপাশা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে সভা ডাকে চন্ডিপাশা ইউনিয়ন বিএনপি। সভা চলাকালে ওয়ার্ডের দুই সভাপতি প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের সূচনা হয়। পরে দুই পক্ষই চেয়ার ছুড়ে একে অন্য পক্ষের লোকজনকে আঘাত করতে থাকলে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

আরো পড়ুন:

দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা: ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দল

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, ঘটনা শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

ঢাকা/রুমন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ স ঘর ষ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ