ছুটির দিনে সাধারণত একুশে বইমেলা শুরু হয় বেলা ১১টায় শিশুপ্রহর দিয়ে। রাত নয়টা পর্যন্ত মেলা চলে। কিন্তু গত দুই দিনই মেলার সময় কাটা পড়ল শুরুতে আর শেষে। শুক্রবার পবিত্র শবে বরাতের জন্য মেলার দ্বার বন্ধ হয়েছিল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। আর গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য শিশুপ্রহর বাদ পড়ল। মেলা শুরু হয় বেলা দুইটায়। সময় কমলেও গতকাল বিক্রি বেশ ভালো হয়েছে বলে প্রকাশকেরা জানালেন।
মেলার মাঠে কথা হলো বিদ্যা প্রকাশের প্রকাশক মজিবর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবারে মেলার চরিত্র ও মেজাজে একধরনের পরিবর্তন রয়েছে। তার ওপর ছুটির দিনে মেলার সময় কমানোর সিদ্ধান্ত বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এভাবে সময় কাটছাঁট করার ঘটনা আগে ঘটেনি। এ ছাড়া কিছু গ্রন্থানুরাগী দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বইমেলায় আসেন। এবার এখনো মেলায় তাঁদের দেখা যাচ্ছে না।
রোকেয়া প্রয়াণলেখ, আবুল আহসান চৌধুরী.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সময় ক
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।