জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য কবি। যাঁর কবিতায় প্রকৃতি, নির্জনতা ও অস্তিত্ববাদী চিন্তাধারা একসূত্রে গাঁথা। বরেণ্য এ কবির ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল।

এ উপলক্ষে নাটকের দল থিয়েটার ফ্যাক্টরি নিয়ে আসছে তাদের নতুন নাটক ‘কমলা রঙের বোধ’।  দলটি আজ অস্থায়ী কার্যালয় ‘বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের ৬ নম্বর কক্ষে আয়োজন করেছে আবৃত্তি, নাট্যাংশ থেকে পাঠ এবং ‘কমলা রঙের বোধ’ নাটকের পোস্টার অবমুক্তর আয়োজন। কবি জীবনানন্দ দাশের সাহিত্য জীবন ও কর্ম অবলম্বনে ‘কমলা রঙের বোধ’ নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন অলোক বসু। 
নির্দেশক বলেন.

‘গত বছরের নভেম্বর থেকে নাটকের মহড়া শুরু করেছি। সম্প্রতি এটি শেষ হয়েছে । কবির ১২৬তম জন্মবার্ষিকীতে এটি মঞ্চে আনার ইচ্ছা ছিল। শিল্পকল্পার কাছে আমরা আবেদনও করেছিলাম শো করার জন্য। আমাদের প্রস্তুতিও ছিল। হল পায়নি বলে নাটকটি মঞ্চায়ন করা সম্ভব হয়নি। আসছে এপ্রিলে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। জীবনানন্দ দাশের সময়, ফ্ল্যাশব্যাক, তাঁর কল্পনা নানারকমভাবে মিশ্রন করে নাটকটি হয়েছে। আশা করছি,এ নাটকের পুরোপুরি জীবনানন্দকে পাওয়া যাবে।’ 
কোন ভাবনা থেকে জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে নাটক মঞ্চে আনতে যাচ্ছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে অলোক বসু আরও বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রপরবর্তী সবচেয়ে বড় কবি জীবনানন্দ দাশ। তাঁর মধ্যে জীবনের ব্যাপার রয়েছে। আজকের তরুন সমাজ  তাকে জানতে চায়।  তাঁর সাহিত্যে যন্ত্রনার জায়গা আছে।  একটি হিউম্যান সাইকোলজিক্যাল লিটারেচার তৈরী করেছেন তিনি।  তরুনরা এই সময়ে দাঁড়িয়ে তাঁর সময়কে এনালাইসিস করছে। এই সময়ের তিনটি ছেলে মেয়ে জীবনানন্দ সম্পর্কে জানতে চায়। এদের সঙ্গে আবার জীবনানন্দের কল্পনায় দেখা হয়ে যায়। সেই দেখা থেকে তাঁর জীবনের নানা রকমের সংগ্রাম,ব্যর্থতা,সফলতা উঠে আসবে নাটকে। জীবনানন্দের সফলতা এসেছে তাঁর মৃত্যুর পরে। অনেকেরই ব্যর্থতা নিয়ে জীবনের ইতি ঘটে। ওই জায়গা থেকে জীবনানন্দকে দেখা।’

 জীবনানন্দকে নিয়ে মঞ্চে কোন কাজ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জীবনানন্দকে নিয়ে মঞ্চে কোন কাজ হয়নি, এটিই দুঃখের বিষয়। সে কারণে  চেষ্টা করছি তাকে দেখাতে। জীবনানন্দকে মঞ্চে ধরা একটু কঠিন। এটিকে তাই চ্যালেঞ্জং হিসেবেই নিয়েছি।  তিনি সহজ সরল জীবন যাপন করতেন। ওই জায়াগাগুলোকে বের করার চেষ্টা করেছি। যেখানে তাকে অন্য আলোয় দেখা যায়।  নাটকে অভিনয় করেছেন দীপু মাহমুদ,আরিফ,বিপাশা সাইফ,আশা আক্তার,মুন খান,কে এম হাসান,দিগন্ত,মৃন্ময়,আকলিমা আক্তার ,সুভাষ সরকারসহ অনেকে। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য

শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ ও দেশসেবার মনোভাব তরুণদের জীবন গড়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোভার ইন কাউন্সিলের ২০২৫–২৬ সালের দায়িত্ব হস্তান্তর ও বার্ষিক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “শৃঙ্খলাযুক্ত জীবন খুবই সন্তুষ্টির একটি ক্ষেত্র। এটি অর্জন কঠিন কিছু নয়, বরং ইচ্ছাশক্তিই এর মূল উপাদান। এখন থেকেই যদি শৃঙ্খলার চর্চা শুরু করা যায়, ভবিষ্যতে সফলতা অর্জন সম্ভব।”

আরো পড়ুন:

শিক্ষার গতিপথ ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাবিতে সেমিনার

জবি দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া দ্রুত চালুর দাবি

তিনি বলেন, “এবার দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করতে পেরেছে, যা একটি বড় অর্জন। এ সফলতার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পাশাপাশি রোভার স্কাউটদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”

নতুন কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. মাহবুব হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন মো. নাজমুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিন্টু আলী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হাসান।

পরে রোভারদের নিবেদন ও নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য