চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন, হঠাৎ মাটিতে পড়ে যান সানী
Published: 17th, February 2025 GMT
টিভি নাটকের তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উত্তরার ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
জানা যায়, রাত ১১টার দিকে বন্ধুদের নিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন শাহবাজ সানী। সেখানেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। মারা যাওয়ার ১০ মিনিট আগে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এই তরুণ অভিনেতা। গেল কয়েকদিন ধরে বুক ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি।
সানীর কাছের মানুষদের একজন নির্মাতা মাসরিকুল আলম। মৃত্যুর সময় সানীর পাশেই ছিলেন এই নির্মাতা। গণমাধ্যমকে সানী শেষ সময়ের কথা মাসরিকুল জানিয়েছেন এভাবে, ‘আমি যখন গেলাম তখনও সানী ভাইয়ের একটু জ্ঞান আছে। বুকে ব্যথা, চিৎকার করছেন। ডাক্তার বললেন, এখানে রাখা ঠিক হবে না; সিসিইউ আছে—এমন হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভালো হয়। আমরা সাথে সাথেই অ্যাম্বুলেন্স কল দিলাম। অ্যাম্বুলেন্স যখন আসছে, তখন এমন একটা অবস্থা যে তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন ডাক্তার বলেন যে আসলে এখন আর নেওয়ার মতো অবস্থায় নাই। তারপর আমরা ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালেই সব রকমের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আর বাঁচানো গেল না।’
মাসরিকুল আরও বলেন, ‘দুই দিন আগে সানী ভাইয়ের সঙ্গে যখন কথা হয়েছিল, তখন তিনি বলছিলেন যে তার বুকে ব্যথা, কাশি রয়েছে। আমি বললাম, ভাই আপনি একটু ডাক্তার দেখান। পরদিন আবার কথা হলে বললেন, সম্ভবত গ্যাস্ট্রিক থেকে এমনটা হচ্ছিল; ওষুধ খাচ্ছি, এখন সুস্থ। আমি ধারণা করছি, ওই জ্বালাপোড়াটা আসলে উনার মাইনর হার্ট অ্যাটাক থেকে হয়েছিল, কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি।’
চট্টগ্রামের তীর্যক নাট্যদলের মাধ্যমে অভিনয়ের হাতেখড়ি হয়েছিল শাহবাজ সানীর। তারপর নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের ‘কাছে আসার পর’ নাটকের মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন তিনি। ২০১৮ সালে গোলাম কিবরিয়া ফারকীর পরিচালনায় ‘আব্দুল্লাহ’ নাটকে প্রথমবার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে ‘চরের মাস্টার’, ‘বিফলে মূল্য ফেরত’, ‘ট্রাভেল শো’, ‘মহব্বত’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হয় ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ