অনেকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা আছে। একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে এ ব্যথা কতটা মারাত্মক। অনেকের ক্ষেত্রে এই ব্যথা একবার শুরু হলে তিন দিনের আগে সারতেই চায় না।

মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় সময় বমি বমি লাগে, নাকে গন্ধ পান না। এসময় তাদের খেতে কষ্ট হয়, ক্লান্ত লাগে, মেজাজ পরিবর্তন হবে। হাত, পায়ে ব্যথা হয়। আবার আলোর দিকে তাকাতেও তাদের সমস্যা হয়। 

কোন কোন খাবার খাবেন না
পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে মাইগ্রেনে আক্রান্তের প্রবণতা বেশি। কারও যদি পারিবারিক ইতিহাসে দেখা যায়,মাইগ্রেনের সমস্যা ছিল, তাহলে সেই ব্যক্তিও মাইগ্রেনের সমস্যার শিকার হবেন। মাইগ্রেন হলে কিছু কিছু খাবার খাওয়া ঠিক নয়। তা না হলে মাথাব্যথায় ভুগতে হতে পারে। যেমন-

চা, কফি : মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে চা, কফি বেশি একদমই খাওয়া ঠিক নয়। এতে ক্যাফেইন থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন খেলে আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে থাকবে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। 

অ্যালকোহল : যারা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন কিংবা মাথা ব্যথার ঝুঁকি কমাতে চান, তারা ভুলেও অ্যালকোহল খাবেন না। এতে আপনার মাথা যন্ত্রণা বাড়তে থাকবে।

চকোলেট : চকোলেটে ক্যাফেইন এবং বিটা-ফেনাইলথাইলামাইন থাকে। এসব উপাদান আপনার মাইগ্রেনের ব্যথাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে চকোলেট খেলে অল্প মাত্রায় খান। এটি খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়তে থাকবে।

পেঁয়াজ : অনেকের পেঁয়াজ খেলেও মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। পেঁয়াজে এমন কিছু যৌগ রয়েছে, যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

পিনাট বাটার : নিয়মিত চীনা বাদাম, মাখন কিংবা পিনাট বাটার খেলেও অনেক সময় মাথাব্যথা হতে পারে। এগুলো আবার অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। যদি আপনি মাইগ্রেনে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন। তাছাড়াও মাইগ্রেনের রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ মতন ওষুধ খাওয়া দরকার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ