কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে কটূক্তিমূলক ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৯টায় উপজেলার গোপালপুর নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. আলম মিয়া। তিনি উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য। আজ মঙ্গলবার সকালে আটক ওই যুবলীগ নেতাকে আদালতে পাঠানো হয়। কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মিডিয়া কর্মকর্তা মো.

আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য মো. আলম মিয়া চার দিন আগে তাঁর টিকটক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটিতে  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কটূক্তি করা হয়। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নাগেশ্বরী থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত ৯টায় তাঁকে আটক করে।

মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ওই যুবলীগ নেতা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে কটূক্তিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছিল। পরে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আজ সকালে একটি মামলায় আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বল গ ন ত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি, স্বজনদের মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাকসুদুল হাসান জনি হত্যা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ ও  মানববন্ধন করে নিহতের পিতা শুক্কর আলী ও স্ত্রী ইভা আক্তার এ অভিযোগ করেন। এসময় মামলার পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান তারা।

নিহতের স্ত্রী ইভা আক্তার বলেন, আমাকে যারা অল্প বয়সে বিধবা ও ৩ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে জুনায়েদকে এতিম করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আসামিরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে এখন আবার হুমকিও দিচ্ছে।  

মামলার বাদী নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় ৩ জন আসামি গ্রেফতার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী মহাসিন ভূঁইয়াসহ ৪ জন এখনো গ্রেফতার হয়নি।

তারা পলাতক থেকে তাদের লোকজনের মাধ্যমে মিমাংসা করে মামলা তুলে দেয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।

নিহতের মা মাজেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমি ও ছেলের বউ ইভা তার সন্ধান করতে নূরুল আনোয়ারের নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের সামনে গেলে নিরাপত্তারক্ষী আলমগীর আমাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।

অথচ সে জানতো আমার ছেলেকে ওই ভবনের একটি কক্ষে হত্যা করেছে। লাশ ভনের লিফটের হাউজের নর্দমা পানিতে রয়েছে। আমি এ পাষাণদের ফাঁসি চাই। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাই জুয়েল, ফাহিম ও বোন সুমাইয়া।

মানববন্ধনে নিহতের স্বজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন, ফজলুল হক মাদবর, লিটন, মাসুদ, জসিম, আব্দুল মজিদ, সুমন, শাহিন, আসলাম ও বাধনসহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৩ দিন পর গত মাসের ১৮ জুলাই দুপুরে নিমাইকাশারী এলাকার নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের লিফটের জন্য রাখা ফাঁকা জায়গায় জমে থাকা নর্দমা পানি থেকে জনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ১৯ তারিখে নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। 

মামলার এজাহার নামীয় আসামি আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও আকাশ হোসেনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব ও পুলিশ।

গ্রেফতারের পর তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। গ্রেফতাররা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি, স্বজনদের মানববন্ধন
  • আমাদের কাছে এসে সমস্যার কথা বলছে মানুষ: মির্জা ফখরুল