কুড়িগ্রামে প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 18th, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে কটূক্তিমূলক ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৯টায় উপজেলার গোপালপুর নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. আলম মিয়া। তিনি উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য। আজ মঙ্গলবার সকালে আটক ওই যুবলীগ নেতাকে আদালতে পাঠানো হয়। কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মিডিয়া কর্মকর্তা মো.
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য মো. আলম মিয়া চার দিন আগে তাঁর টিকটক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কটূক্তি করা হয়। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নাগেশ্বরী থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত ৯টায় তাঁকে আটক করে।
মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ওই যুবলীগ নেতা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে কটূক্তিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছিল। পরে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আজ সকালে একটি মামলায় আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য বল গ ন ত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।