গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি ও স্বজনদের লংমার্চ কর্মসূচি শুরু
Published: 19th, February 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত কিছু ব্যক্তি ও তাঁদের স্বজনেরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করছেন।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা এই কর্মসূচি শুরু করেন। তাঁরা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন হয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, সরকার ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’—এই তিন ক্যাটাগরি করে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিচ্ছে। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ‘এ’ ও ‘বি’-এর মতো সুবিধা রাখা হয়নি। এটি খুবই বৈষম্যমূলক।
লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের দাবি, আহত সব ব্যক্তিকে ‘এ’ বা ‘বি’ ক্যাটাগরিতে চিকিৎসা দিতে হবে। ক্যাটাগরি হবে দুটি। আহত ও গুরুতর আহত।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের অন্য দুটি দাবি হলো, প্রান্তিক এলাকার আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সুবিধার্থে টোল ফ্রি হটলাইন সেবা চালু করতে হবে এবং আহত ব্যক্তিদের সুরক্ষায় আইন করতে হবে।
আহত প্রত্যেককে সরকারি ভাতার আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের অনেকে।
রংপুর থেকে আসা আহতদের একজন রনি মিয়া। তিনি রংপুর কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছিলাম বৈষম্য নিরসনের জন্য। অথচ আমাদের আহতদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। রংপুরে ২৬৫ জন আহত আছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন এ ক্যাটাগরিতে আছেন। বি ক্যাটাগরিতে মাত্র ১৭ জন। বাকিরা সি ক্যাটাগরিতে। আমরা বলতে চাই, এখানে ক্যাটাগরি হবে দুটি। একটি হলো, যারা গুরুতর আহত, যারা একেবারে পঙ্গু হয়ে গেছে। অন্য ক্যাটাগরিতে থাকবেন বাকিরা। আর কোনো ক্যাটাগরি থাকবে না।’
আবুল কালাম আজাদ নামের আহত একজন বলেন, ‘এই সরকার আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় বসেছে। তাহলে কেন আমাদের ওপর এত বৈষম্য করা হচ্ছে? আমরা এখানে এসেছি, অধিকার আদায় করতে। এই বাংলার মানুষ আর কোনো বৈষম্য দেখতে চায় না।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আহত
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।
কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।
সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।