জবির চিন্তক সাময়িকীর ‘গণঅভ্যুত্থান’ প্রকাশ
Published: 19th, February 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চিন্তক সাময়িকীর বিশেষ সংখ্যা ‘গণঅভ্যুত্থান’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস, তাৎপর্য ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে এর প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এ বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এতে চিন্তক এর সম্পাদকমণ্ডলী, লেখক, ইতিহাসবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন চিন্তক-এর সম্পাদক জুনায়েদুল ইসলাম।
‘গণঅভ্যুত্থান’ সংখ্যায় গবেষণাধর্মী নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, কবিতা ও ছোটগল্প স্থান পেয়েছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের ‘জুলাই বিপ্লব’ ও গণঅভ্যুত্থানের ওপর বিশদ আলোচনা এবং দুর্লভ ছবির সংকলন এটিকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, “এ সংখ্যা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে নতুনভাবে জানার সুযোগ করে দেবে।”
আয়োজকদের প্রত্যাশা, বিশেষ সংখ্যাটি পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে এবং গণ আন্দোলনের চেতনাকে আরও শক্তিশালী করবে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক